ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন
প্রকাশিত : ২২:৫০, ৩ মে ২০১৮
নরসিংদীর রায়পুরায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে হত্যার ঘটনায় তার সমর্থকরা বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে ছয়বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হককে গুলি ছুড়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীর আড়াকান্দা এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
পরে সিরাজুল হককে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান সিরাজুল হক উপজেলা সদরে কাজ শেষে মেঘনা নদীর পান্থশালা পার হয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাঁশগাড়ীর আড়াকান্দা এলাকায় পৌঁছালে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। দুর্বৃত্ত এসময় চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও মোটরসাইকেল চালককে খুব কাছ গুলি করে করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় সিরাজুল হককে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সিরাজুল হকের ভাতিজা সাইদ আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, চাচাকে গুলি করা হয়েছে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারছি না।
বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া বলেন, সিরাজুল ইসলাম ১৯৮৮ সাল থেকে ছয়বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য হন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, নিহত সিরাজুল ইসলাম বাঁশগাড়ীর অনেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়েছে।
আর/টিকে
আরও পড়ুন