ইছামতি নদী যেন ময়লার ভাগাড় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৭:১৯, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৪, ১৫ এপ্রিল ২০১৮
দখল-দূষণে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে একদা স্রোতস্বীনি- পাবনা’র ইছামতি নদী। হোসিয়ারী শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নদীটির। ইছামতিতে দূষণের ফলে পাবনার পরিবেশের উপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার কয়েক লাখ মানুষ। নদীতে খননের জন্য বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও সমন্বয় আর অর্থাভাবে তা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
পাবনা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদী ঘিরেই গড়ে ওঠে এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য। বাংলার নবাব ইসলাম খাঁ ১৬০৮ থেকে ১৬১৬ খৃস্টাব্দে সৈন্য পরিচালনার সুবিধার্থে একটি খাল খনন করেন, নাম দেন ইছামতি। এই ইছামতি দিয়েই বজরায় করে পাবনা আসতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
অসচেতনতার কারণে শহরের বাসা-বাড়ি, হোটেল রেঁস্তোরার আবর্জনা, হাসপাতাল ক্লিনিকের বর্জ্য- যাবতীয় ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। এছাড়া স্লুইস গেট দিয়ে পানি আটকে পরিকল্পিতভাবে নদীকে মেরে ফেলারও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
২৪০ ফুট প্রস্থের ইছামতি এখন মাত্র ৮০ থেকে ৯০ ফুট। নদীটি বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা বারবার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তব রূপ পায়নি।
পাবনা পৌরসভা বলছে, ইছামতি খননে বৃহৎ পরিকল্পনা ও অর্থায়ন প্রয়োজন।
তবে ইছামতি সংস্কারে প্রশাসন সচেষ্ট বলে জানান জেলা প্রশাসক।
ঐতিহ্যবাহী ইছামতিকে ফিরিয়ে দিতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে সরকার- এমন প্রত্যাশা জেলাবাসীর।
আরও পড়ুন