ইতিহাসের নিকষ কালো দিন ১৪ ডিসেম্বর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
ইতিহাসের নিকষ কালো দিন ১৪ ডিসেম্বর। নয়মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে চূড়ান্ত বিজয়ের আগ মুহূর্তে জাতি হারিয়েছিল সূর্যসন্তানদের। পাকিস্তানি হানাদারদের এদেশীয় দোসররা সেদিন কেবল বুদ্ধিজীবীদেরই হত্যা করেনি, আজও চালিয়ে যাচ্ছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। বিস্তারিত ফারজানা শোভার প্রতিবেদনে।
স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ পেতে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল একাত্তরের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর। বাঙালির চেতনা নিশ্চিহ্নের ষড়যন্ত্রে নৃশংসভাবে নিভিয়ে দেয়া হয়েছিল জাতি গড়ার কারিগরদের প্রাণপ্রদীপ।
অনিবার্য বিজয়ের বার্তায় পাগলপ্রায় পাকিস্তানি কুচক্রিরা বেছে বেছে মুক্তবুদ্ধির শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কোনো কোনো শহীদের মরদেহ পর্যন্ত পাননি স্বজনেরা।
স্বাধীন বাংলার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ রুখে দেয়ার এই নীলনকশা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা নেয় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রসংঘের কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনী।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, "১১ ডিসেম্বর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী এবং পাকিস্তান ডেমোক্রেটিকসহ চারটা দলকে স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ওই মুহূর্তে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।"
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও দুই মূল ঘাতক চৌধুরী মইনুদ্দিন যুক্তরাজ্যে এবং আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়নবিরোধী প্রচার ও তদ্বির। বিশাল অংকে পোষা লবিস্টরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ আরোপে জামায়াতের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, "যারা অন্য রাষ্ট্রে নাগরিকত্ব নিয়েছেন এবং বাংলাদেশেও কর্তৃত্ব করতে চান এইটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। লবিস্ট নিয়োগ করা তো আনফেয়ার, দেশের টাকা দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা প্রচার করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, তাদের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিৎ না।"
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি আর ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর চায় আজকের প্রজন্ম।
এসবি/