ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উগান্ডা
প্রকাশিত : ১৭:০১, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা। আফ্রিকান বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে নামিনিয়ার উইন্ডহকে ৯ উইকেটে হারিয়ে বৈশ্বিক এই আসরে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় রুয়ান্ডা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ দশমিক ১ ওভারেই মামুলি লক্ষ্য পেরিয়ে যায় উগান্ডা।
এই ম্যাচে উগান্ডার সামনে সহজ সমীকরণ ছিল। জিতলেই নিশ্চিত বৈশ্বিক মহাযজ্ঞ। তবে এই ম্যাচে দাপুটে জয়ই পেয়েছে উগান্ডা। উগান্ডার জয়ে কপাল পুড়ল টেস্ট খেলুড়ে দল জিম্বাবুয়ের। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০ ওভারের ফরম্যাটেও খেলা হচ্ছে না জিম্বাবুয়ের।
দিনের আরেক ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে রান বন্যা বইয়ে লাভ হবে না জিম্বাবুয়ের। কেননা, ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্টে টেবিলের দুইয়ে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে উগান্ডা।
এদিন উগান্ডার জয়ের নায়ক দলটির বোলাররা। আলপেশ রামজানি, দীনেশ নাক্রানি, সিসেন্দু আর মাসাবার তোপে অল্পতেই গুটিয়ে যায় রুয়ান্ডা। ১৮ দশমিক ৫ ওভার পর্যন্ত লড়াই করলেও পুঁজি বাড়াতে পারেনি তারা। দলের মাত্র দুই ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেয়েছেন। আর কোনো ব্যাটারের স্ট্রাইকরেটই এক শ’র ধারেকাছে ছিল না।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী শুরু আনেন সিমন সিসাজি। রোনাক ফেরার পর রজারকে নিয়ে দ্রুত কাজ সেরে ফেলেন তিনি। দলের জয় নিশ্চিত করে ২১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
উল্লেখ্য, ফুটবলের মতো ক্রিকেটকে পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়িয়েছে আইসিসি। তাই এবার ২০ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এর আগে, ২০২১ সালে ১২ দল নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স বিবেচনায় আসন্ন আসরে উঠেছে ১২টি দল। গত বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং র্যাঙ্কিং বিবেচনায় রয়েছে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।
এর আগে, কোয়ালিফায়ার খেলে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, কানাডা ও পাপুয়া নিউগিনির পর মূলপর্ব নিশ্চিত করে এশিয়ার আরও দুই দেশ নেপাল ও ওমান।
২০টি দলকে প্রথম রাউন্ডের জন্য ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে পাঁচটি দল। এখান থেকে শীর্ষ দুটি দল নিয়ে হবে সুপার এইট। এখানেও চারটি দল নিয়ে দুটি গ্রুপ ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল খেলবে সেমিফাইনালে।
এমএম//