ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইন্টারভিউ ভীতি কিভাবে কাটাবেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৫, ১৯ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

চাকরি নামক সোনার হরিণ আয়ত্ব করতে ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখী হতে হয় প্রত্যেকের। লিখিত পরীক্ষায় পাশের পর ইন্টারভিউ নামক এ পরীক্ষা অনেকের জন্য খুবই ভীতিকর।ইন্টারভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগে হাঁটু কাঁপা, দরদর ঘাম বা মাথা ব্যাথা করার মতো টেনশন এসে ভর করে। তবে ইন্টারভিউতে এসব ঝঞ্ঝাট ট্যাকল করে কী ভাবে ইন্টারভিউয়ের গোলপোস্ট পার করবেন, জেনে নিন তার সহজ কিছু উপয়-

তৈরি থাকুন: চাকরি কেউ সহজে পায় না। তাই লিখিত পরীক্ষায় পাশের পর যখন ইন্টারভিউয়ের ডাক পেয়েছেন। তখন স্বপ্নের চাকরি থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে। তাই সিরিয়াস হোন। জরুরি যে পড়াশোনা— অন্তত সেটুকু করে যান। ইন্টারভিউ কিন্তু শুধুই ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা নয়। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের মুখেমুখি হতেই পারেন।

জোরে শ্বাস: এক কথায় ব্রিদিং এক্সারসাইজ, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউ হলে ঢোকার আগে বড় করে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ুন অল্প অল্প করে। বার কয়েক এমন করুন। এতে স্ট্রেস কমে। বাড়ে আত্মবিশ্বাস। উদ্বেগ কমিয়ে শান্ত রাখে মন ও বুদ্ধিকে।

সোজা পিঠ, চোখে চোখ: প্রথম আর প্রাথমিক শর্ত কিন্তু এটাই। আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। তাই পরীক্ষা গ্রহণকারীর সামনে সে ভাবেই বসুন, যাতে কোনও জড়তা ধরা না পড়ে। প্রশ্নের উত্তর দিন চোখে চোখ রেখে, হাসি মিখে। ‘আই কনট্যাক্ট’-এর প্রভাব কিন্তু অনেক। এটাতেই ধরা পড়ে এক জনের ঋজু মানসিকতা ও আত্মবিস্বাস।

হাসিমুখ: কথায় বলে, হাসিমুখের জয় সর্বত্র। পরীক্ষকদের সামনে রিল্যাক্সড থাকুন। উত্তর ভাল দিন বা খারাপ— আপনার লুকোনো টেনশন যেন ধরা না পড়ে। বরং হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই ইন্টারভিউ শেষ হোক।

নেগেটিভিটি ছাড়ুন: ইন্টারভিউ দিতে এসে অনেকেই অন্য পরীক্ষার্খীদের আলোচনা বা প্রস্তুতির বহর দেখে ঘাবড়ে যান। কেউই পুরো বিষয়ের সবটুকু জেনে আসেন না, কাজেই যেটুকু আপনি জানেন, আস্থা রাখুন তার উপরই। এ সব নিয়ে বেশি মাথা ঘামালে কিন্তু তার ছাপ পড়বে আপনার পারফরম্যান্সে।

জানি না বলতে শিখুন: অজানা প্রশ্নের উত্তরে সটান বলতে শিখুন ‘জানি না’। সব জানা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। সেটা আপনার পরীক্ষকরাও জানেন। কাজেই ভুল উত্তর বা আমতা আমতা করে উত্তর দিয়ে ব্যক্তিত্ব না খুইয়ে স্পষ্ট বলুন ‘জানা নেই’। এতে আপনার সততা আর স্মার্টনেসে আকৃষ্ট হবেন পরীক্ষকরা।

‘বি পজিটিভ’: যে কোনও প্রশ্ন বা পরিস্থিতির সামনেই পজিটিভ আচরণ বজায় রাখুন। আপনাকে যাচাই করতে পরীক্ষার্থীরা নানা রকম পরিস্থিতি তৈরি করবেন, আসতে পারে স্নায়ুর চাপও। মাথা ঠান্ডা রেখে মুখে হাসি নিয়ে কথা বলুন। মাথায় রাখুন, জীবন চাকরির চেয়ে অনেক বড়। তাই প্রকট চাপের মুখে কখনও মেজাজ হারাবেন না।

পুল-পুশ: আরও এক জরুরি বিষয়। দরজা ঠেলে ইন্টারভিউতে ঢোকার আগেই মাথায় রাখুন ‘পুল’ করে ঢুকলেন নাকি ‘পুশ’ করে? বেরনোর সময় মাথায় রাখুন সেটা। অনেক ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ও মানসিক স্থিরতা যাচাই করতে এই বিষয়টি নজরে রাখেন পরীক্ষকরা।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি