‘ইবিকে বড় মাদরাসা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল’
প্রকাশিত : ১৫:০২, ২৮ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৬:২৬, ২৮ জুলাই ২০১৮
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, কোন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বড় মাদরাসা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। অমুসলিমকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না এবং ইসলামী শিক্ষার নামে কিছু নীতিমালা যুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিকাশ তা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তরুণ কয়েকজন শিক্ষক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে একটি ফোরামের জন্ম দিয়েছিল আর সেই ফোরামের নাম “শাপলা ফোরাম”।
ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। আমরা অতীতে লক্ষ্য করেছি যে, শাপলা ফোরামের নাম ব্যবহার করে অনেকেই অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার নিজ আদর্শের জায়গায় চলে গেছেন। তাই আমি সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যাদেরকে বর্তমান প্রশাসনের আমলে প্রগতিশীল মনে করে চাকরি দেওয়া হয়েছে তাদেরকে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি।
“আছি মোরা প্রগতির পথে, চলতে চাই এক সাথে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাপলা ফোরামের আয়োজনে পুনর্মিলনী ২০১৮ এবং নতুন শিক্ষকদের বরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমি একগুচ্ছ তারকা (৫৮ জন) শিক্ষককে নিজ হাতে নিয়োগ দিয়েছি। এদের কর্মকাণ্ডে প্রগতিশীল শক্তি আরও বেগবান হবে এই প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান বলেন, আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর ১৭ জন শিক্ষক মিলে সিলেবাস আন্দোলনসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সোচ্চার হয়। ছাত্রী ভর্তি, অমুসলিম ভর্তিসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনের ফলসূতি আজকের এই প্রগতিশীল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শাপলা ফোরামের সদস্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুল মুঈদ, অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ্, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. নাসিম বানু প্রমুখ।
এসএইচ/
আরও পড়ুন