ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রকাশিত : ১৫:৪২, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
‘সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক’ স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠার অর্ধযুগ পেরিয়ে সপ্তম বছরে পদার্পণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে সাংবাদিক সংগঠনটি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)র নিচতলায় অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে বেলা ১১টায় কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এছাড়াও ক্যাম্পাসে ফলজ, বনজ বৃক্ষরোপণ করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
কেক কাটা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন’সহ সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয় দিনব্যাপী মুখর থাকে সদস্যদের আড্ডা ও স্মৃতিরোমন্থনে। এছাড়াও অতীত থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা বর্তমানে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরও গঠনমূলক কাজে বদ্ধপরিকর প্রতিটা সদস্য।
সাবেক সদস্যরা অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে করেন অর্ধযুগের স্মৃতিচারণ। নবীনদের কন্ঠে ছিল এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়। সবমিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয় দিনটি।
ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির আহ্বায়ক তারিক সাইমুম বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি সবসময় স্বচ্ছতার জায়গায় অটুট ছিলো। 'সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠনের প্রতিটি সদস্য লেখনীর মাধ্যমে দেশ ও জাতি বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন বছরে পদার্পনের মাধ্যমে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের মাধ্যমে নতুন দ্বার উন্মোচিত হোক এবং সর্বক্ষেত্রে নতুন সংস্কারের ছোঁয়া পৌঁছায় যাক সেই কামনা করছি।
শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যে সংবাদগুলো তোমরা বিভিন্ন পত্রিকা কিংবা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে প্রচার করছো এতে পুরো বাংলাদেশ তথা গ্লোবালি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বাড়ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব করছি তা সবাই জানতে পারছে। এই ধারা আরও শাণিত হোক।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির যে পদচারণা- যতটুকু মনে হলো ইতিবাচক দিকটাই বেশি। সাংবাদিক হিসেবে তোমাদের প্রফেশনালিজের পরিচয় দিবে এবং ক্যাম্পাসের ভিতরে বাহিরে কিংবা জাতীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পরে আমরা যে স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি সেটার যেন অপব্যবহার না করি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, প্রক্টরের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার মনে হয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাথে আমার সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে ভালো কাজের ক্ষেত্রে রিপোর্টার্স ইউনিটির একটা ইতিবাচক ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। আশা করি, জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে নতুন করে সাহস সঞ্চয় করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করে রিপোর্টার্স ইউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ১৮ই নভেম্বর যাত্রা করে ক্যাম্পাসের তৃতীয় সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে রিপোর্টার্স ইউনিটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, নিরপেক্ষ অবস্থান’সহ ক্যাম্পাসের নানা অসঙ্গতি সঠিকভাবে তুলে ধরেছে এই সংগঠনটি।
এএইচ
আরও পড়ুন