ইমিউনিটি বাড়াতে চান? রোজ সকালে খান এই ভেষজ
প্রকাশিত : ১১:০৯, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
ইমিউনিটি শক্তিশালী থাকলে কেবল করোনা থেকেই নয়, অন্যান্য অনেক রোগ থেকেই দূরে থাকা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যার যত শক্তিশালী থাকবে, সে ততই নিরাপদ থাকবে। তাই চিকিৎসকরা সর্বদা ইমিউনিটি শক্তিশালী রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে, এর মধ্যে একটি হল আয়ুর্বেদ। আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করতে যুগ যুগ ধরে বেশ কিছু ভেষজ ব্যবহার করা হয়ে আসছে ।
তাহলে দেখে নিন ইমিউনিটি শক্তিশালী করতে কোন কোন ভেষজের সাহায্য নেবেন -
> নিম পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। তবে একটানা ১৫ দিনের বেশি নিমপাতা খাওয়া ঠিক নয়। তাছাড়া, গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদের সরাসরি নিম পাতা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
> শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে আদাও অত্যন্ত কার্যকর। আদায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি মেটাবলিজম উদ্দীপিত করে।
> নিয়মিত খালি পেটে আমলকী খাওয়া শুরু করুন, আর দেখুন ম্যাজিক! আমলকী ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে।
> আয়ুর্বেদের অন্যতম দু'টি উপাদান হল, গিলয় এবং ব্রাহ্মী। গিলয় এবং ব্রাহ্মীর রসের সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি শক্তি, বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তবে, এই ভেষজগুলি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাই এর প্রভাব কমাতে দুপুরের খাবারের পরে বাটারমিল্ক পান করুন।
> আয়ুর্বেদের অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় ভেষজ হল তুলসী। তুলসী শক্তিশালী জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এতে ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করার মুহূর্তে শনাক্ত করে এবং এদের ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
> স্ট্রেস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে এবং আমাদের শরীরে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। অশ্বগন্ধা হল এক ধরনের অ্যাডাপ্টোজেন, যা স্ট্রেস লেভেল কমাতে পারে। তাই, এই মহামারীর সময়কালে অশ্বগন্ধা খাওয়ার অভ্যাস করুন, এটি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে।
> আমলকী, হরিতকি এবং বহেরার চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলা। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ এবং ল্যাক্সেটিভ বৈশিষ্ট্য বর্তমান। ত্রিফলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/এসবি