ইসলামী দৃষ্টিতে কথা বলার নিয়ম-কানুন
প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ৩ জুলাই ২০১৯
কথা বলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জীবনের সব ক্ষেত্রেই কথা বলতে হবে নিয়ম-কানুন ও আদব রক্ষা করে। কোন মজলিস হোক, পারিবারিক হোক, রাস্তাঘাটে হোক কথা বলতে হবে আদবের সঙ্গে।
ইসলামী দৃষ্টিতে কথা বলার নিয়ম-কানুন বা আদব জেনে নিন:
- কম কথা বলা উত্তম। সত্য বলা ওয়াজিব, মিথ্যা বলা হারাম।
- সাধারণভাবে আস্তে কথা বলাই উত্তম। তবে বড় মজলিসের প্রয়োজন অনুপাতে জোরে কথা বলা যাবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জোরে কথা বলা ভালো নয়।
- নিজের চেয়ে অধিক বয়স এবং অধিক জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের কথা বলতে অগ্রাধিকার দেওয়া আদব।
- তাহকীক বা তদন্ত ব্যতীত কথা বলা অন্যায়। যে কোন কথা শুনেই তাহকীক-তদন্ত ব্যতিত তা বর্ণনা করা মিথ্যার শামিল।
- যে কথায় ঝগড়া এবং তর্ক সৃষ্টি হয়, তা বলা অন্যায়।
- নিজের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন খবর বা প্রতিশ্রুতিমূলক কথা বললে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে।
- বড়দের সঙ্গে আদব রক্ষা করে কথা বলতে হবে।
- বড়দেরকে সম্মানজনক সম্বোধন করে কথা বলা আদব।
- কাউকে কাফের, ফাসেক, মালাউন, আল্লাহর দুশমন, বেঈমান ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা নিষেধ।
- নিজের ভাঙ্গা ভাঙ্গা অভিজ্ঞতার কথা বলবে না, এতে শ্রোতাদের মনে বিরক্তির উদ্রেক হয়।
- আত্মপ্রশংসা অর্থাৎ নিজের প্রশংসা নিজে করা নিষেধ। এটা গোনাহে কবীরা।
- অতিরিক্ত ঠাট্টা মজাক না করা ভালো। এতে প্রভাব, লজ্জা-শরম ও পরহেজগারী কমে যায়।
- যে শব্দ বা ভাষা খারাপ উদ্দেশ্যে এবং খারাপ অর্থে ব্যবহার করা হয় সেটা পরিহার করা কর্তব্য।
- চিন্তা করে কথা বলতে হবে। বিনা চিন্তায় কথা বললে অনেক সময় মিথ্যা হয়ে যায়।
- কথা সংক্ষেপ বা দীর্ঘ হবে না অর্থাৎ যতটুকু কথা বললে প্রয়োজন অনুযায়ী ততটুকু বলতে হবে।
- চাটুকারিতামূলক কথা অর্থাৎ কারও তোষামোদ করে কথা বলা যাবে না।
- কোন প্রয়োজনের কথা পূর্বে বলে থাকলে আবার সেটা পুনরাবৃত্তি করার ক্ষেত্রে পূর্ণ কথা বলতে হবে। পূর্ণ কথা না বললে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
- কারও বক্তব্য শেষ হওয়ার পূর্বেই তার কথা কেটে মাঝখানে কথা না বলা আদব।
- নিজের কথায় ভুল হলে সেটা স্বীকার করে নেয়া এবং অপব্যাখ্যায় না যাওয়া আদব।
ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রেও উপরোক্ত আদবগুলো রক্ষা করতে হবে।
তথ্যসূত্র : মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীনের আহকামুন নিসা গ্রন্থ।
এএইচ/কেআই