ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ই-কমার্স খাতকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনার উদ্যোগ (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১২:৪৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ডিজিটাল ব্যবসায় প্রতারণা ঠেকাতে ই-কমার্সকে আইনী কাঠামোর মধ্যে আনার কাজ শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন’ ডিবিআইডি। আর এর মাধ্যমে এখাতে আস্থার সংকট কাটবে, নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।

গত কয়েক বছরে ই-কমার্স ব্যবসায় ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। হাজারো উদ্যোক্তা অনলাইনে করছেন ব্যবসা। যার মধ্যে বেশিরভাগই ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং অ্যাপসভিত্তিক।

ডিজিটাল ব্যবসা বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতারণাও। কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অবাস্তব ও লোভনীয় অফারের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত এখন হাজার হাজার গ্রাহক। 

পরিস্থিতি উত্তরণে গোটা ই-কমার্স খাতকে কঠোর জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চাচ্ছে সরকার। চেষ্টা চলছে খাতটিকে শক্তিশালী আইনী কাঠামোর মধ্যে আনার। যাতে গ্রাহকের অর্থ ঝুঁকিতে না পড়ে।

প্রথম ধাপে এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালনায় ‘ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন’ ডিবিআইডি নেয়ার অ্যাপ চালু হয়েছে। বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন উদ্যোক্তারা।  

ই-ক্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘কে কি বিজনেস করে জানা নেই, কে কি ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত সেটাও জানা নেই। যখন ডিবিআইডির অন্তর্ভুক্ত থাকবে তখন তাদেরকে সরকার কোন লোনের আওতাভুক্ত করতে পারবে।’

তারা বলছেন, ডিবিআইডি’র কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই সহায়ক হবে।

চালডাল ডটকম চীফ অপারেটিং অফিসার জিয়া আশরাফ বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বা যত ধরনের ডকুমেন্ট আছে তা জমা দিয়েছি। আমরা ভালভাবে এই ব্যবসাটা করতে চাচ্ছি।’

দেশে ই-ক্যাবে আওতাভুক্ত অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৬শ’র বেশি। এছাড়া ফেসবুকভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে কয়েক লাখ। 

নিথান স্বত্বাধিকারী ফারাহ দিবা বলেন, ‘মানুষ যখন জানবে যে আমি সরকার কর্তৃক সার্টিফাইড। তখন কিন্তু অনলাইন উদ্যোগের প্রতি যে অনাস্থা তা দূর হবে।

ই-কমার্সে দেশে দৈনিক লেনদেন প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি