ঈদের কেনাকাটায় জমজমাট রাজধানীর শপিংমল
প্রকাশিত : ২২:৩২, ২ জুন ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৭, ২ জুন ২০১৮
মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদের এখনও সপ্তাহ দুই বাকী। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে এর কেনাকাটা। ক্রেতার ভীড়ে জমে উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপনী-বিতান। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে ভীড়ের ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে অনেকে এখনই ছুটছেন পছন্দের পোশাকটি কিনতে। ক্রেতারা বিপনী-বিতানে ঘুরে ঘুরে বেঁছে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পণ্যটি। পছন্দ হলেই করছেন দরদাম। আর দাম ও পছন্দের সমন্বয় হলেই আগে ভাগেই কিনে নিচ্ছেন তার ঈদ পোশাকটি।
রাজধানীর মৌচাক ফরচুন শপিং মলে খিলগাঁও নন্দীপাড়া এলাকা থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এসেছিলেন হামিদ রহমান। একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে তিনি বলেন, আমি একজন মুদি দোকানি। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে আমার পরিবারের ঈদ কেনাকাটার সময় পাবো না। তাই দোকানে আমার এক স্বজনকে রেখে এসেছি। আগে থেকেই কেনাকাটা করার জন্য। আগে এসে ভালই হয়েছে। দেখে শুনে পছন্দের পোশাক দরদাম করেই কিনতে পেরেছি। আমি আজ স্ত্রীর জন্য শাড়ি ও বাঁচ্চাদের জন্য দুটি করে জামা কিনেছি। নিজের জন্য পরে কিনবো।
মৌচাক ফরচুন শপিং মলে একইভাবে রামপুরা এলাকা থেকে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সুমি ও রুমি নামে দুই বোন। তারা পছন্দের থ্রি-পিস ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। মলের বিসমিল্লাহ শাড়ি সেন্টারে রাখা কিছু থ্রি-পিস দেখে তারা দরদাম করেন। এ শাড়ি সেন্টারের ডিসপ্লেতে শাড়ির পাশাপাশি থ্রি-পিসও বিক্রি করা হচ্ছে। যেখানে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ছাড়। প্রতি পিসে ৫০০ টাকা মূল্য হিসেবে একসেট থ্রি-পিসে রাখা হচ্ছে মাত্র এক হাজার ৩০০ টাকা। আবার প্রতি এক সেট থ্রি-পিসের দাম যেখানে এক হাজার ৮০০ টাকা, সেখানে ৩০০ টাকা কমে দাম রাখা হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকা।
সুমি বলেন, প্রতিবার ঈদ আসলে পোশাকের দাম বাড়ে। এবার এখনও বাড়েনি, দাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে। তাই দাম বাড়ার আগে দুই বোনের জন্য দুটি থ্রি-পিস ক্রয় করলাম। এখন একটি শাড়ি ক্রয় করবো মায়ের জন্য। আর আমাদের আরও পোশাক আগামী সপ্তাহে কিনবো।
বিসমিল্লাহ শাড়ি সেন্টারের বিক্রেতা মন্টু বলেন, ঈদের এখনও প্রায় দুই সপ্তাহ বাকী। এর মধ্যে আমাদের শপিংমলে বেচা-কেনা শুরু হয়ে গেছে। এখন মাসের বেতন অনেকে পায়নি, তাই কিছুটা হলেও ক্রেতারা দেখেশুনে কিনতে পারছেন। কিন্তু দুই একদিনের মধ্যে উপচে পড়া ভীড় শুরু হবে বলে আশা করছি।
ফরচুন শপিং মলের পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে মৌচাক মার্কেটেও। তবে মৌচাক মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা ফরচুনের তুলনায় কম। প্রচণ্ড গরমে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতারা ফরচুন শপিংমলের দিকে ঝুঁকছেন বেশি।
মৌচাক মার্কেটের নিনাক্সি শাড়ি সেন্টারের বিক্রেতা মো. আবুল হোসেন বলেন, আমরা এখানে কাতান, জামদানি, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন ধরণের শাড়ি বিক্রি করছি। এবার ক্রেতাদের মধ্যে কম দামের শাড়ির ওপর ঝোঁক বেশি। আমরা ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা মূল্যের শাড়ি বেশি বিক্রয় করতে পারছি।
এসএইচ/
আরও পড়ুন