ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ঈদ যাত্রার শুরুতেই ভোগান্তি (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১১:০৫, ২৫ এপ্রিল ২০২২

মহাসড়কের পাশাপাশি এবার ঈদ যাত্রায় ভোগাবে রাজধানী থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলোও। চরম ট্রাফিক অব্যস্থাপনার কারণে এখনই এসব রাস্তায় লেগে থাকছে তীব্র যানজট। ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লে এই ভোগান্তি হবে আরও ভয়াবহ।

ঈদে এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রতিবছর সড়ক পথে ঢাকা ছাড়েন। মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট আর ফেরি পারাপারের ভোগান্তির কারণে এ যাত্রা সুখকর হয়না খুব একটা। মহাসড়কে ওঠার আগেও রয়েছে ভোগান্তি। রাজধানী থেকে বের হওয়ার সব কটি পথ যেন অবরুদ্ধ।

বাবু বাজারের বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুটি পার হওয়া সহজ কথা নয়। চারদিক থেকে একসঙ্গে সেতুতে ওঠার প্রতিযোগিতা। রিক্সা চলাচল নিষেধ হলেও হরহামেশাই চলছে, তাও উল্টো পথে।

ওঠার মুখেই রয়েছে অটোরিক্সা ও লেগুনার স্ট্যান্ড। সেতুর বড় একটা অংশ তাদের দখলে।

সেতুর মাঝামাঝি রয়েছে বাসস্ট্যান্ড। অন্যসব যানবাহনের পথ আটকে যাত্রী তোলে বাসগুলো। দুই পাশে সিঁড়ি দিয়ে যাত্রী ওঠে সেতুর ওপর। সেখানেও যাত্রী তোলার জটলা।

স্থানীয়রা জানান, “ব্রিজ পার হতে দেড়-দুঘণ্টা লাগে, আবার আসতে লাগে এক-দেড়ঘণ্টা। কাজ করব কিভাবে। সব সময়েই এখানে জ্যাম থাকে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি না দেখলে এই জ্যাম কখনই ছাড়বে না।”

ভোগান্তি নিয়ে কথা বলতে গেলে যাত্রী তোলার পক্ষেই কথা বলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, “এখানে যাত্রী নামিয়েই তো চলে যায় বাসগুলো।”

এরপর দেখা যাক রাজধানীর গাবতলীর অবস্থা। রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা স্বাভাবিক ঘটনা। আবার সিটি কর্পোরেশনের চাঁদা আদায় করা হয় রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে। রয়েছে কয়েকদিকে যাওয়ার সিগনাল।

যাত্রীরা জানান, “গাবতলীতে যে অতিরিক্ত গাড়িগুলো আসে ওদের তো থাকার জন্য নির্ধারিত কোন জায়গা নেই। ওরা এসে রাস্তার উপরে থাকার কারণে অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি হয়।” 

দায়িত্বরত পুলিশ জানান ঈদের আগে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও কঠোর করা হবে। 

রাজধানী থেকে বের হওয়ার আরেক পথ আটকে যায় টঙ্গী ব্রিজের কাছে এসে। উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় মাত্র একটি লেন দিয়ে গাড়ী চলতে পারে। রাস্তায়ই রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। আবার রাস্তায় দাঁড়িয়েই যাত্রী তোলা। 

চালকরা জানান, এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গী মাত্র দশ মিনিটের পথ কিন্তু যেতে লেগে যায় দুই ঘন্টা। 

তারা বলেন, “মাছের আড়তের জন্য এবং রাস্তার জায়গায় জায়গায় অল্প অল্প কাজের জন্য জ্যাম লাগে। জ্যামের কারণে দুই থেকে তিন ঘণ্টাও লেগে যায়।”

রাজধানীর সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীর অবস্থাও একই রকম। শুধু ঢাকা থেকে বের হতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় যাত্রীদের। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে তাই সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চান ঘরমুখো যাত্রীরা। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি