ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

উগ্রবাদী তৎপরতা বন্ধে কাজ করতে শুরু করেছে অটোমেশন পদ্ধতি

প্রকাশিত : ১৩:৪৭, ২২ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১৩:৪৭, ২২ জুলাই ২০১৬

অনলাইনে উগ্রবাদী তৎপরতা বন্ধে কাজ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের অটোমেশন পদ্ধতি। নতুন করে কোনো সন্ত্রাসী ভিডিও, বার্তা বা পোস্ট দিলেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তের পর সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে হামলা, তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান ও ভারতে কাশ্মীরের চরমপন্থি নেতা নিহতের পর উগ্রবাদি কার্যক্রম ঠেকাতে নতুন এ পদ্ধতির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। সাইবার টেরোরিজম। পুরো বিশ্বকে যেন আঁকড়ে ধরেছে প্রযুক্তিনির্ভর এই সন্ত্রাস। গুগল, ফেইস বুক, টুইটার আর ইউটিউব। যার মাধ্যমে মুহুর্তেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে লোমহর্ষক ভিডিও, জঙ্গিদের বার্তা আর ভয়ানক সব ছবি। হাজারো মাইল দূর থেকে শুধু মাত্র নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়া নয়, হামলা চালানো থেকে শুরু করে নতুন সদস্য আকর্ষণের এখন সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিমন উইসেনথাল সেন্টার নামে সংস্থার রিপোর্ট বলছে, প্রতিদিন দুই লাখেরও বেশি টুইটারে পোস্ট দেয় আইএস। আর এর বিরুদ্ধে রীতিমত লড়াই শুরু করেছেন প্রযুক্তিবিদরা। অটোমেশন নামে নতুন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু করেছেন তারা। যার মাধ্যমে সফটওয়ার নিজেই খুঁজে নেয় উগ্রবাদী ভিডিও বা পোস্ট। কপিরাইট প্রোটেকটেড হলেও তা ব্লক হয়ে যাবে। ফ্রান্সের নিস শহরে হামলার পর এই পদ্ধতির মাধ্যমে উগ্রবাদি পোস্ট বন্ধে তৎপর হয় ফেইসবুক-টুইটার। ভারতের কাশ্মীরের চরমপন্থি নেতা বুরহান ওয়ানিকে নিয়ে পাকিস্তানি অভিনেতা হামাজ আলি আব্বাসী’র ফেইসবুকে দেয়া আপত্তিকর পোস্টও ব্লক করা হয়। যদিও এ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ ওয়েবসাইটগুলো। আইনগত জটিলতা থাকায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। তবে চরমপন্থী প্রচারণা বন্ধে আপাতত এর কার্যকারিতার দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি