উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হচ্ছে না
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ১৭ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১১:৪৬, ১৭ জুলাই ২০১৬
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে দেয়া উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রায় দেয়ার পর বছরের পর বছর, এমনকি যুগ পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয় না। এসব রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না, তা তদারকি করতে প্রায় ১৫ বছর আগে সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষকে একটি তদারকি সেল গঠন করার অনুরোধও জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু তা-ও গঠিত হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট একটি রায় দেন। ওই রায়ে, এক বা একাধিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে, ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্র“য়ারি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থানসহ, বেশ কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেসব স্মৃতিবিজড়িত স্থান আজও চিহ্নিত হয়নি বলে জানান সংশ্লিস্ট আইনজীবী। এসব স্থান নির্দিষ্টকরণ করার পরের ধাপে আরও অনেক কাজ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল নির্বিঘœ করতে চার বছরেরও বেশি সময় আগে ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়নি। এছাড়াও ভাষা জাদুঘর স্থাপন, ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রণয়ন, ফলমূলে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে সব ধরনের বন্দরে পরীক্ষাগার স্থাপন সহ বিভিন্ন রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি।
আদালতের রায় বাস্তবায়নে বাদী পক্ষের একাগ্রতা আর রায় বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগের কথা জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ।
তবে, হাইকোর্টের আবেদন অনুযায়ি তদারকি সেল গঠন করে এসব এসব রায় ও আদেশ বাস্তবায়ন তরান্বিত করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন