উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রাকৃতিক রহস্যের চাবিকাঠি
প্রকাশিত : ০৯:৩০, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮
সজীব চকচকে ত্বক কে না চায়! কিন্তু সকলে তো সহজাতভাবে সতেজ উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী নন, তা পেতে হলে একটু খাটনি তো রয়েছেই। আপনার ত্বকে হয়তো পিম্পল। কিন্তু নিত্যদিনের দূষণের শিকার আপনার ত্বক। কৃত্রিম প্রোডাক্টে সেগুলো খানিকটা কমলেও ত্বকের সুস্বাস্থ্য উদ্ধার সম্ভব হয় না। বিশেষত ঘুমের সময়ে পরিচ্ছন্নতা আরও জরুরি। দেখে নিন ত্বককে সজীব রাখার বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়।
স্বাভাবিক ত্বকে কী ব্যবহার করবেন
স্বাভাবিক ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা শুষ্ক কোনওটাই নয়। এই ধরনের ত্বক খুব সেনসেটিভ বা খুঁতযুক্ত হয় না। এটা ধরে রাখাও সহজ। স্বাভাবিক ত্বকে ব্রণর দাগ বিশেষ থাকে না। স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্যও থাকে। তবে একে টেকেন ফর গ্রান্টেড নেবেন না। এই ধরনের ত্বকেরও কিন্তু একটু যত্ন দরকার।
নারকেল তেল ফ্রেশ ওয়াশ
মুখে থাকা সব দূষণ ও নোংরা মুছে দিতে পারে নারকেল তেল। এটি ত্বকের স্বাভাবিক ময়শ্চারকে ধরে রাখে। এবং কার্যকারিতার দিক থেকে দামি প্রোডাক্টকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে তৈরি করা হয়। এতে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে।
প্রতি রাতে মুখে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিয়ে তিরিশ সেকেন্ড ম্যাসাজ করুন। তারপরে উষ্ণ জলে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখে চাপা দিয়ে রাখুন তিরিশ সেকেন্ড। একটি ভেজা তুলো দিয়ে অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে নিন। এতে ত্বক নরম থাকবে।
তৈলাক্ত ও অ্যাকনে প্রোণ ত্বকের জন্য ফেশ ওয়াশ
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের এমনিতেই ব্রণ, অ্যাকনে, ব্ল্যাকহেডস, গর্ত এ সবের সমস্যা হয়। কৃত্রিম প্রোডাক্টে অনেক সময় এ ধরণের ত্বকের উল্টে ক্ষতি হয়ে যায়। এ ধরনের ত্বকের জন্য খুব কার্যকর হবে বেকিং সোডা ও মধু দিয়ে তৈরি ফেশ ওয়াশ। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও থাকবে, ক্ষতিও হবে না।
বেকিং সোডা ও মধু
বেকিং সোডায় অ্যন্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। মধু ত্বককে নরম ও সতেজ রাখে। এই দু`টি উপাদানে তৈরি ফেশ ওয়াশ আপনার ত্বককে ব্রণমুক্ত ও তরুণ রাখবে।
প্রথমে উষ্ণ গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। এক টেবিলচামচ মধু আধ চা চামচ বেকিং সোডা নিন। দু`টিকে হাতে মিশিয়ে মুখে মাখুন। তার পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেশ ওয়াশ
এ ধরনের ত্বকে ময়শ্চার কম থাকায় দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। ফাটা, বলিরেখার সমস্যাও বেশি হয়। ফলে ত্বকে চুলকানি, জ্বালা ভাব সৃষ্টি হয়। তবে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে আপনি এর থেকে রেহাই পেতে পারেন।
ওটমিল ও দুধ
ওটমিলে পলিস্যাকারাইড থাকে, যা আপনার ত্বককে এ সব সমস্যা থেকে সুরক্ষা কবচ জোগাবে। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি উপাদান ত্বকের ক্ষতি আটকে তার জলীয় ভাব ধরে রাখে। দুধ খুব ভাল উপাদান শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়। দুধে থাকা ভিটামিন ডি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ফলে ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ওট ও দুধ মিশিয়ে ঘন করুন, সেটা মুখে মেখে খানিকক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন।
সব ত্বকে সহ্য হয় যেগুলি
যাদের অল স্কিন টাইপ তাদের নাকের দু`পাশটা বেশি তৈলাক্ত হয়। ময়দা, ওট। হলুদ, লেবুর খোসার পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাখলে উপকার পাবেন।
সেনসেটিভ ত্বকের জন্য
এ ধরনের ত্বকে চট করে ব্রণ, অ্যাকনে, জ্বালাপোড়া সমস্যা শুরু হয়ে যায়। নারকেল তেল ও মধুর মিশ্রণ এ ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী।
প্রথমে দুটি উপাদান মিশিয়ে আরেকটি পাত্রে ফানেলের মাধ্যমে ঢেলে নিন যাতে মিশ্রণটা নরম হয়। উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে এই মিশ্রন খানিকক্ষণ লাগিয়ে এক মিনিটের মধ্যে ধুয়ে ফেলুন। ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
এমএইচ/