উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোকে টার্গেট করে চলছে জেএমবির কর্মকান্ড
প্রকাশিত : ১১:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১১:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০১৬
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোকে টার্গেট করে চলছে ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ জেএমবির কর্মকান্ড। গত সাত মাসে উত্তরের সাত জেলায় সংগঠনটির ১১টি হামলায় এক জাপানি নাগরিকসহ ৫ জন নিহত ও এক ইতালির নাগরিকসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডাররা এ বিষয়ে জবানবন্দিও দিয়েছেন। এসব হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেপ্তার হলেও, মূলহোতাদের অনেকেই এখনও ধরাছোয়ার বাইরে।
রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, বগুড়া ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলা ঘিরে চলছে নিষিদ্ধ জেএমবির তৎপরতা। এসব জেলায় গত অক্টোবর থেকে একের পর হামলা চালিয়ে ৫ জনকে হত্যা করে নিজেদের শক্তি সম্পর্কেও জানান দেয় জেএমবি জঙ্গিরা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩ অক্টোবর থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত রংপুরে ৩টি, দিনাজপুরে ৩টি এবং নীলফামারী, কুিড়গ্রাম, পঞ্চগড়, বগুড়া ও পাবনায় একটি করে হামলা চালায় জেএমবি। এসব হামলা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৭ জেএমবি নেতার মধ্যে ৬ জন একাধিক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিও দেয়।
গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রংপুরে পৃথক ৩টি হামলায় নিহত হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী। গুরুতর আহত হন বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিন।
৫ অক্টোবর পাবনার ঈশ্বরদীতে যাজক লুকের উপর হামলা হয়।
১২ নভেম্বর নীলফামারির সৈয়দপুরে প্রতীকী কারবালায় হুসনাইন নামে ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা করে জঙ্গিরা।
১৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩টি হামলায় দিনাজপুরে গুলিবিদ্ধ হন গির্জার ধর্মযাজক ইতালির নাগরিক পিয়েরো পিচম। হামলা হয় ইসকন মন্দির আর যাত্রাপালার আসরে।
২৬ নভেম্বর বগুড়ায় শিয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন, ২১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায় ও ২২ মার্চ কুড়িগ্রামে হোসেন আলী নামে এক ধর্মান্তরিত খৃস্টান খুন হন।
এসব ঘটনার পরপরই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএস দায় স্বীকার করলেও পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে জেএমবির নাম।
আরও পড়ুন