ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পাশে থাকবে কোইকা: পলক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৩, ৩০ নভেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গত ১৩ বছরে প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার খুলে দিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য। ভূমিকা রেখেছে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে।

এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশের যৌথ অংশীদারিত্ব। 

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি কোইকা-বাংলাদেশ সিলভার জুবলি নাইট’ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, শুরু থেকেই আইসিটি বিভাগের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে নানা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তাবয়ন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের সাথী হয়ে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণেই দক্ষিণ কোরিয়ার  আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা কোইকা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। আর এই সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট ভার্চুয়াল ডেস্ক উদ্বোধন করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এই ডেস্কটি উভয় দেশের প্রযুক্তি ও বিপিও খাতে উদ্ভাবন-বিনিয়োগের সেতুবন্ধক হবে বলে মনে করেন তিনি। 
 
কোইকা বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। 

কোইকার প্রাযুক্তিক ও আর্থিক সহায়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, কোইকার সঙ্গে যৌথদারিত্বে আইসিটি বিভাগ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশে ই-সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ণ করেছি। মহেশখালীতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্প। কোরিয়া টেলিকম ও আইওএম কক্সবারের উপজেলাগুলোকে উচ্চগতির ইন্টারনেটে সংযুক্ত করেছে। পাশাপাশি, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, মোবাইল হেলথ কেয়ার, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন, সোলার ইলেকট্রিসিটি এবং ই-কমার্স খাতে অবদান রেখেছে। বাংলা গভ প্রকল্প বাস্তবায়নে দিয়েছে সফট লোন। আইডিয়াথন সফল হয়েছে।     
 
কেবল সরকারি পর্যায়ে নয়; দেশের বেসরকারি খাতেও কোইকার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। 

পলক বলেছেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদের যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা আগামীতে আরো গভীর হবে। উভয় দেশের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে। বাংলাদেশের ২০৪১ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোরিয়ার সর্বাত্মক সহায়তা অব্যহত থাকবে।   

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, ওয়ার্ল্ড ফুর প্রোগ্রাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি রিচার্ড রিগ্যান এবং কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস ইয়াং আদো এসময় বক্তব্য রাখেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দ: কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেংকিউন, ইকোনমিক রিলেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, ওর্য়াল্ড ফুডপ প্রোগ্রামের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রিচার্ড রিগান।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি