ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

উন্নয়নের বাংলাদেশ

উন্নত যোগাযোগ: বাঁচছে সময়, বাড়ছে বাণিজ্য

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৫২, ৬ মার্চ ২০১৯

সড়ক পরিবহন

    • সারাদেশে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়ক, ৪ হাজার ৪০৪টি সেতু এবং ১৪ হাজার ৮৯৪টি কালভার্ট রয়েছে।
    • ২০০৯ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক উন্নয়ন খাতের আওতায় ৪ হাজার ৩৩১ কিলোমিটার মহাসড়ক মজবুতিকরণসহ ৫ হাজার ১৭১ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে।  
  • ৪১৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চারলেন বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
  • দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ১৯০ কিলোমিটার চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে;
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে।
  • নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে।
  • রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম- হাটহাজারী সড়ক ডিভাইডারসহ চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে।
  • কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ।

স্থানীয় সরকার

  • ২০০৯ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২,২৮০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন।
  • ৭৫,৭৭৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ৩১,৬৩৭ মি. ব্রীজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ/ পুনর্বাসন।
  • ৩,০১,৩৪১ মিঃ ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ।
  • ১৬২ টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ/সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
  • ১৪৯১টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সম্প্রসারণ।
  • ১,৯৮৬টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন।
  • ৭৬০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ।
  • ১০৫০.৫০ কিলোমিটার বাঁধ পুনঃনির্মাণ/উন্নয়ন।
  • ১,২৫৩টি পানি সম্পদ অবকাঠামো/রেগুলেটর নির্মাণ।
  • শহরাঞ্চলে ৫,৫৩৮ কি.মি. সড়ক/ফুটপাথ নির্মাণ;
  • ২,৮৮০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ;
  • শহরাঞ্চলে সড়কে ৬,৯৯৯ মি. ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ;
  • ঢাকা মহানগরীতে ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে।
  • স্যানিটেশনের জাতীয় কভারেজ ৯৯%।
  • ঢাকা ওয়াসার ২৩০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন।

চলমান প্রকল্পসমূহ

  • ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন ১৩৯টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
  • ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে উত্তরা ৩য় পর্ব হতে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। মেট্রোরেল নির্মিত হলে উভয়দিকে ঘন্টায় ষাট হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এছাড়া মেট্রোরেল রুট-১ ও রুট-৫ এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। 
  • ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ঢাকা-মাওয়া-পাচ্চর-ভাঙ্গা মহাসড়ক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এটি হবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে।
  • এডিবি’র অর্থায়নে জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে তেইশটি সেতু নির্মাণ এবং প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এলেঙ্গা হতে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক সার্ভিসলেনসহ চারলেনে উন্নীতকরণ কাজও শুরু হয়েছে।
  • গাজীপুর চৌরাস্তা হতে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত দ্রুত গতির বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি রুট নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।  

সেতু বিভাগ

  • বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০,১৯৩.৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলছে। জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫৭ শতাংশ।
  • হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত ৮৭০৩.১১ কোটি টাকা ব্যয়ে র‌্যাম্পসহ প্রায় ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে ২০১৪ সালে জুন মাসে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে চীন সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
  • বরিশাল-পটুয়াখালী জাতীয় মহাসড়কাংশে পায়রা নদীর ওপর চারলেন বিশিষ্ট পায়রা সেতু, তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুসহ বেশকিছু সেতুর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
  • জাইকা’র ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে চারলেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর নির্মাণকাজ শেষপ্রান্তে।  

রেলপথ

  • প্রায় ১০ বছরে ৩৩০.১৫ কি.মি. নতুন রেললাইন নির্মাণ। ৯১টি স্টেশন বিল্ডিং নতুন নির্মাণ ও ২৪৮.৫০ কি.মি. মিটারগেজ থেকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর। নতুন ৭৯টি রেল স্টেশন নির্মাণ। ২৯৫টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ।
  • রেলওয়ের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ৩০ বছর মেয়াদী (২০১৬-২০৪৫) একটি মাস্টার প্ল্যান অনুমোদিত।  
  • রেলপথ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন। রেলের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে ৬১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
  • সর্বমোট ১১৩৫.২৩ কি.মি. রেললাইন উন্নয়ন/পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ। ১৭৭টি রেলস্টেশন উন্নয়ন/পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ।
  • যাত্রীদের তথ্য প্রদানের জন্য কল সেন্টার ‘১৩১’ চালু।
  • ই-টিকেটিং কার্যক্রমের আওতায় মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকেট প্রাপ্তি এবং ট্রেনের তথ্য জানার সুবিধা চালু করা হয়েছে।
  • ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোর ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে ২৪৩ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ চলমান।
  • খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত ৬৪.৭৫ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  
  • কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে।
  • চীন সরকারের অর্থায়নে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ চলমান।
  • পায়রা বন্দরের সাথে রেল সংযোগের লক্ষ্যে ভাঙ্গা হতে বরিশাল পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

  • মোংলা-ঘাসিয়াখালি নৌ-পথ খনন করে চালু করা হয়েছে।
  • নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৫০ মেট্রিক টন উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন ‘নির্ভিক’ ও ‘প্রত্যয়’ নামে দু’টি উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
  • ঢাকার চারদিকে নদী তীরের ভূমি দখলমুক্ত রাখতে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
  • ঢাকা, বরিশাল ও পটুয়াখালী নদী বন্দর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ভোলা নদীবন্দর ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
  • বরগুনা, ভৈরব ও যশোরের নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়ন এবং সীতাকুণ্ড কাঁচপুর ও টঙ্গীতে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।  
  • ৫৫ বছর পর ২০১৩ সালে বিআইডবিøউটিএ’র জন্য ৩টা লংবুম এক্সাভেটর ক্রয় করা হয়েছে। এটি দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
  • পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌরুটে রাতে নৌযান চলচলের জন্য ‘নাইট নেভিগেশন’ চালু করা হয়েছে।
  • বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর দূষণমুক্তির জন্য দূষণের উৎসমুখ বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে; কাজ চলমান রয়েছে।
  • শিমুলিয়া ও কাঠালবাড়ি ফেরী ঘাট স্থানান্তরের মাধ্যমে ফেরী চলাচল যোগ্য নৌ পথের দূরত্ব হ্রাস করা হয়েছে।
  • কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন, মহেশখালী-বাশখালী, খুলনা-নোয়াপাড়া নৌপথ খনন করা হযেছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

  • আমদানি ও রপ্তানি কার্গো এলাকায় ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কার্গো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে কার্গো হ্যান্ডলিং সেমি-অটোমেশন করা হয়েছে।  
  • বাংলাদেশের বিমানবন্দরসমূহের সেফটি এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থার উন্নয়নে হোল্ড ব্যাগেজ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিন, ফায়ার ভেহ্যিকেল, হোল্ড ব্যাগেজ এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেক্টশন সিস্টেম (ইটিডি), এন্ট্রি এক্সপ্লোসিভ কনটেইনার, কেবিন লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, এক্সসেস কন্ট্রোল সিস্টেমসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করে অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
  • চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রাডার এবং যশোর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ডিভিওআর এবং ডিএমই স্থাপন।
  • কার্গো স্ক্যানিং সম্পন্ন করার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজে দুটি অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি টাইপ কার্গো স্ক্যানিং মেশিন ও একটি হেভি লাগেজ এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়।
  • বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) এর নিজস্ব অর্থায়নে এপ্রোন-এ চারটি সুপরিসর প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফট ও দুইটি সুপরিসর কার্গো এয়ারক্রাফট এর পার্কিং সুবিধা চালু করা হয়েছে।
  • বিমানবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।  
  • কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। বিমানবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণের কাজ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে সমাপ্ত হবে।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ। বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
  • বর্তমানে ৫২টি দেশের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে। ৭টি নতুন এয়ারলাইন্সসহ মোট ৩১টি বিদেশী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।  
  • নতুন ২টি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স, ৩টি হেলিকপ্টর সার্ভিস, ১টি কার্গো এয়ারলাইন্স, ২টি ফ্লাইং ট্রেনিং স্কুল এবং ১টি এরোনটিক্যাল ট্রেনিং কলেজের কার্যক্রম শুরু। মোট ১৯টি দেশীয় বিমান সংস্থা অপারেশন পরিচালনা করছে।  
  • ৩০টিরও অধিক বিদেশী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ হতে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩৭টি গন্তব্যে যাত্রী ও কার্গো সেবা পরিচালনা করছে। প্রতিবছর ৬ মিলিয়নেরও অধিক যাত্রী বিমান পরিবহন সেবা গ্রহণ করছে।
  • বিমান বহর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির সাথে সম্পাদিত ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী ০২টি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
  • ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিমান ২৭২.২৩ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে (নিরীক্ষা ব্যতীত) বিমান ১২০ কোটি টাকা লাভ করেছে।
  • হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী) উদ্বোধন। কক্সবাজার বিমানবন্দরে সুপরিসর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান চলাচল উদ্বোধন।
  • বিমান বহরে চারটি অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ (আকাশবীণা, হংসবলাকা, রাজহংস ও গাংচিল) ড্রীম লাইনার এয়ারক্রাফট যোগ হচ্ছে।   

বিআইডব্লিউটিসি

  • বিআইডব্লিউটিসি’র ফেরি ছিল ২০টি, বর্তমান সরকারের সময়ে ১৭টি ফেরি নির্মাণ করা হয়েছে। স্টিমার সার্ভিসে ২টি বৃহৎ জাহাজ যুক্ত করা হয়েছে। আরও ২টি বৃহৎ যাত্রীবাহী নৌযান নির্মাণাধীন রয়েছে।
  • বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর, চাঁদপুরের মতলব ও নারায়ণগঞ্জ এবং গজারিয়া ও মুন্সিগঞ্জ সদরের মধ্যে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বদনাতলী-চরশিবার নৌরুটে বদনাতলী ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে।
  • জামালপুর (বাহাদুরাবাদ) ও গাইবান্ধার (বালাশীঘাট) এবং আরিচাঘাট এবং পাবনার নরদাহের মধ্যে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। জামালপুর (বাহাদুরাবাদ) ও গাইবান্ধার (বালাশীঘাট) আনুষঙ্গিক নির্মাণ কাজ চলমান।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

  • চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ২৮ ধাপ এগিয়েছে। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’ এর ২০১৭ সালের জরিপে (২০১৮ সালে প্রকাশিত) বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭০তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। 
  • বিভিন্ন ধরণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কন্টেইনারের ডুয়েল টাইম গড়ে পূর্বের ২৫-২৬ দিন থেকে ১১-১২ দিনে নেমে এসেছে এবং জাহাজের গড় অবস্থানকাল পূর্বের ১১-১২ দিনের স্থলে ৩ দিনে নেমে এসেছে। 
  • চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং দ্রত ও সহজতর করার লক্ষ্যে দেশের প্রথম ‘রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন’ চট্টগ্রাম বন্দরে সংযোজন করা হয়েছে।
  • নিউমুরিং টার্মিনালের ৪টি জেটিতে কন্টেইনার ওঠানো নামানোর কাজ শুরু হয়েছে। বন্দরকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্ণফুলি কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়ায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।
  • চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিকদের মজুরি, ভাতা, চিকিৎসা সেবা, বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
  • শ্রমিকদের সমস্যাসমূহ নিয়মিত সমাধান করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ‘শ্রম শাখা’ চালু করা হয়েছে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ

  • ৬২ বছর পর মোংলা বন্দরের নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য নিয়মিত ড্রেজিং-এর লক্ষ্যে ৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দু’টি কাটার সাকশান ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে।
  • পশুর নদীর নাব্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হারবার এলাকায় ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে।
  • মংলা বন্দরে মালামাল দ্রæত ও দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডলিং এর জন্য ১৭ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার, ৬টি ফর্কলিফট ট্রাক, ২টি টার্মিনাল ট্রাক্টর ও ২টি কন্টেইনার ট্রেইলার সংগ্রহ করা হয়েছে।

পায়রা সমুদ্র বন্দর

  • বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারে গত মেয়াদে (২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর) পটুয়াখালীতে পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপন করা হয়েছে।
  • পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ১১২৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়সম্বলিত প্রকল্প চলমান।

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

  • বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) বর্তমানে দু’টি জাহাজের বহর নিয়ে আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্যে নিয়োজিত থেকে সরকারের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
  • সরকার ছয়টি জাহাজ এবং দু’টি মাদার ট্যাঙ্কার সংযুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে। শীঘ্রই চীন থেকে ছয়টি জাহাজ দেশে এসে পৌঁছবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

  • ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২টি স্থলবন্দরের গেজেট করেন। এর মধ্যে ২টি সচল ছিল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আরও ১৩টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
  • বর্তমান সরকারের সময়ে ৮টি নতুন স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা এবং ৯টি অচল বন্দর সচল করা হয়েছে।
  • বেনাপোল বন্দরে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য দু’টি অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে।
  • ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের অবকাঠামোসমূহ আধুনিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন; বুড়িমারী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

মেরিন একাডেমি

  • সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক প্রশিক্ষণের জন্য ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।   
  • ৪২ বছর পর শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সিলেট, রংপুর, বরিশাল ও পাবনায় ৪টি মেরিন একাডেমির স্থাপনের কাজ চলমান।
  • ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
  • বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম কলেজের যৌথ উদ্যোগে মেরিটাইম এডুকেশন উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীন একাডেমির প্রশিক্ষণ মান আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করেছে।
  • নারী শিক্ষার উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও নারী সমাজের সম-অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ২০১২ সাল থেকে প্রথমবারের মত প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে নারী ক্যাডেট ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে।

পর্যটন

  • দেশের ২৮টি স্থানে পর্যটন সুবিধাদি নির্মাণ/উন্নয়নসহ সাইনেজ স্থাপন করা হচ্ছে।
  • পর্যটনকে নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন।
  • ১০টি পাঁচ তারকা, ৩টি চার তারকা ও ১০টি তিন তারকা মানের হোটেলের লাইসেন্স প্রদান।
  • আগের রূপসী বাংলা হোটেলের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের জন্য সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা ইন্টারকন্টিন্টোল নামে গত ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ খ্রি. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। সোনারগাঁও হোটেলের কক্ষসমূহের আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন এবং হোটেলটি লাভজনকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
  • পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ প্রণয়ন;

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম

  • বাংলাদেশ হাওর ও জলাভ‚মি উন্নয়ন বোর্ডকে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভ‚মি উন্নয়ন অধিদপ্তরে রূপান্তর করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত দপ্তর করা হয়েছে।
  • হাওর ও জলাভূমি উন্নয়নের লক্ষ্যে হাওর মাস্টার প্ল্যান (২০১২-২০৩২) প্রণয়ন করা হয়েছে।
  • বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) পূর্বের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে ৫,৪৯৯টি পদ সৃজন করে অনুমোদিত জনবল কাঠামো ১৩,২২৯তে উন্নীত করা হয়েছে
  • বিগত ১০ বছরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১৪০টি (নদীতীর সংরক্ষণধর্মী ৬৬টি, সেচধর্মী ২১টি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ/নিস্কাশনধর্মী ২৩টি, ড্রেজিংধর্মী ৬টি, সমীক্ষাধর্মী ১৫ টি, ভ‚মি পুনরূদ্ধারধর্মী ২টি ও বাপাউবো ব্যতীত অন্যান্য সংস্থাসমূহের ৭টি) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ৯৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে, জুন, ২০১৯ নাগাদ ৩১টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন সমাপ্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ১৩১টি প্রকল্প গ্রহণ করে ৭৯টির বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ৫২টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।   
  • বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৫৮৯.০০ কিমি নদীতীর সংরক্ষণ, বিভিন্ন নদীর প্রায় ১০৮৮ কিমি নদী খনন, ৬৭৮.০০ কিমি সেচ ও নিষ্কাশন খাল খনন এবং ২৭৭৩.০০ কিমি খাল পুনঃখনন, ১০৪৭.০০ কিমি বাঁধ (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, উপক‚লীয় ও ডুবন্ত) নির্মাণ এবং ৩৬৬০.৮১ কিমি বাঁধ পুনঃনির্মাণ/মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া ১৭.২১ বর্গকিমি ভ‚মি পুনরূদ্ধার করা হয়েছে। 
 
 
 

Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি