ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

উপাচার্যের ভবনে হামলাকারীরা মুখোশধারী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫১, ১০ এপ্রিল ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) উপাচার্যের  বাসভবনে হামলার জন্য মুখোশধারী নারীরা আগে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, গত রোববার দিবাগত রাতে ভিসির বাড়িতে মুখোশধারী হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হবে। একইসঙ্গে ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব যারা ছড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

উপাচার্যের বাড়িতে মুখোশধারীরা কেনো হামলা চালালেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার নিজেরও জানতে ইচ্ছে করছে এরা কারা? ঢাবি উপাচার্যের বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। উপাচার্য জীবন বাঁচাতে পরিবার নিয়ে বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষককে পেলে পায়ে ধরে সালাম করি। কিন্তু সেখানে একজন ভাইস চ্যান্সেলর আক্রান্ত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নেতা ফোন করে জানান, উপাচার্য আক্রান্ত হয়েছেন। উপাটার্যকে বাঁচাতে হলে এখনই ফোর্স পাঠাতে হবে। আমি সঙ্গে সঙ্গে আইজি এবং র‍্যাবের ডিজিকে ফোন করে দ্রুত ফোর্স পাঠাতে বলি। তারা সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে ভিসিকে উদ্ধার করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ওই রাতে যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে তা কল্পনাতীত। হামলাকারীরা বাড়ি-গাড়ি ভেঙেছে, সিসিটিভি ভেঙে মনিটর নিয়ে গেছে। তবে ডকুমেন্ট হিসেবে টিভি চ্যানেলসহ অন্য সোর্স থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমরা ফুটেজে দেখেছি মুখোশ পরে নারীরা আগে ঢুকেছে, পরে পুরুষরা।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে রাত ৮টার দিকে পানি ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেলে তারা অভিযানে যায়। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরীহদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুকে একজন নিহতের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, খবরটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে যে ছেলেটি মারা গেছে বলে গুজব ছড়ানো হয় সেই ছেলেটি পরে ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, সে মারা যায়নি। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওই স্ট্যাটাসটি ইমরান এইচ সরকারসহ আরো অনেকে দেন। যারাই এ কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে।

দাবি-দাওয়া নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন হতে পারে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরাও ছাত্র আন্দোলন করেছি। তবে আন্দোলনের নামে এ ধরনের অরাজকতা কখনো হয়নি। ছাত্রদের ভেতরে বিভিন্ন দলের কর্মীরা থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেগুলো খতিয়ে দেখছে।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি