ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

উপাচার্যের স্বাক্ষর জাল করায় জবি শিক্ষার্থী আটক

জবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:৫০, ২৫ মে ২০২৩ | আপডেট: ১৫:০৬, ২৫ মে ২০২৩

বিভাগ পরিবর্তনের আবেদনে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনের স্বাক্ষর নকল করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। 

আটককৃত শিক্ষার্থী মো. সজীব আহমেদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে আরবি পড়তে হয় বলে এই শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। 

বুধবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক রইছ উদ্দিন আবেদনে জাল স্বাক্ষর পেয়ে প্রক্টর অফিসে পাঠান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন যাচাই করে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনের জাল স্বাক্ষর শনাক্ত করেন প্রক্টর।

জানা যায়, সজীব আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। পরবর্তীতে হিন্দু পরিচয় দিয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগে মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষদের ডিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের জাল স্বাক্ষর বসান।

তিনি নিজেকে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা বলে দাবি করে আইডি কার্ড প্রদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জাল এডমিট কার্ডও জমা দেন। এসব কাগজপত্র তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেন।

সজীব আহমেদ জানান, তার রোল বি২০০১০৫০২৭। বাবার নাম মো. আবুল কালাম ও মাতা শিল্পী বেগম। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি বিমান বাহিনীর ওয়াচম্যান ও চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত আছেন বলে জানান। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে আরবি পড়তে হয় বলে তিনি এ অপকর্মে জড়িয়েছেন বলে স্বীকার করেন। পরীক্ষা দিয়েও শূন্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি। জাল সিলগুলো তিনি সাভার বাজার থেকে তৈরি করেছেন বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সজীব আহমেদ প্রথম বর্ষে কোনো পরীক্ষাতেই অংশ নেয়নি। তার বিভাগের সহপাঠীরা তাকে শনাক্তও করেছেন। কাগজপত্রের কথা বলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে ডিন ও প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার এ কাজের পেছনে একটি চক্র কাজ করছে বলে ধারণা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ব্যাপারে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, ফাইনাল মাইগ্রেশনের কাগজপত্র ক্রস চেক করে আমি এমন কোনো শিক্ষার্থীর তথ্য পাইনি। পরবর্তীতে তাকে কায়দা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়। আসার পর তাকে আমার দপ্তর থেকে প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযুক্তকে ডিন অফিস থেকে প্রক্টর অফিসে আনা হয়। তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপার্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা রনি বাদি হয়ে মামলা করবেন। এরই মধ্যে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি