ঋণ খেলাপিদের কারণেই তৈরি হচ্ছে মামলা জট (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫২, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকাই খেলাপি। আর অর্থঋণ আদালতে আটকে আছে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ব্যাংকাররা বলছেন, পর্যাপ্ত আদালত না থাকায় মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বেশি লাগছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কারণেই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। অর্থঋণ ও দেউলিয়া আদালত নিয়ে একই ধরনের পর্যবেক্ষণ আইনজীবীদেরও।
ঋণ দেয়ার পর অর্থ ফেরত না পেলে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর আগে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়ায় যেতে হয় প্রতিষ্ঠানকে। সম্পত্তি বিক্রিতে অপারগতা বা বিক্রির পরও পুরো ঋণ উঠে না এলে বাকি পাওনা আদায়ে বাংক অর্থঋণ বা দেউলিয়া আদালতে মামলা করে।
বর্তমানে এই দুই আদালতে ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ পাওনা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। তৈরি হয়েছে মামলা জট।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত দেউলিয়া আদালতে মামলার হয়েছে ৫৩৩টি, যাতে দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। বিচারাধীন আছে ১৭২ মামলা। অন্যদিকে, অর্থঋণ আদালতে মামলা আছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪২৮টি। যাতে দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। এখানে বিচারারধীন মামলা ৭২ হাজার ৫৪০টি।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেউলিয়া আইনে পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চতয়তা নেই। ফলে অর্থঋণ আদালতই শেষ ভরসা তাদের। আদালতের সংখ্যা বাড়িয়ে মামলার জট কমানো সম্ভব বলছেন তারা।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এমডি এন্ড সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা বেশি এবং এখানে সুবিধাও পাওয়া যায়।”
প্রায় একই মত আইজীবীদেরও, ঋণ বিতরণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সতর্ক ও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ তাদের।
আইনজীবী সৈয়দ মিসাহুল আনোয়ার বলেন, “অর্থঋণ আদালতে অনেক বেশি মামলা হয়। এই আদালতে দীর্ঘসূত্রিতাও কম। দেউলিয়া আদালতে দীর্ঘসূত্রিতা বেশি। এছাড়া অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে ফলাফলটাও বেশি পাওয়া যায়।”
তবে যারা ব্যাংকের টাকা মেরে দেশ ছেড়েছে, আদালতের মাধ্যমে সেই অর্থ উদ্ধার করা খুবই কঠিন বলছেন বিশ্লেষকরা।
এএইচ
আরও পড়ুন