ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ঋণ সহায়তায় মিলেছে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যাশিত সাড়া (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১০, ৯ মে ২০২৩

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রশংসায় উন্নয়ন সহযোগীরা। দাতা সংস্থাগুলোর অব্যাহত ঋণ সহায়তার পাশাপাশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকেও মিলছে প্রত্যাশিত সাড়া। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাতা সংস্থার পাশপাশি বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ঋণ চুক্তি দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে। তবে প্রতিশ্রুত ঋণ যথাসময়ে ছাড় করানোর তাগিদ তাদের। 

বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতি এখন টালমাটাল। স্বস্তিতে নেই এশিয়া তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও। খানিকটা চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতিও। 

তবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে প্রয়োজন বিপুল অর্থ। তাই উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ-সহায়তা নিচ্ছে সরকার। আর এতে উৎসাহ নিয়েই সাড়া দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএম, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো।

বাংলাদেশকে আইএমএফ ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যার প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যেই পেয়েছে বাংলাদেশ। অক্টোবর নাগাদ মিলতে পারে দ্বিতীয় কিস্তি।

এদিকে, বিশ্বব্যাংকও ঋণসহায়তা অব্যাহত রাখছে। গেল সপ্তাহে সংস্থাটি আরও ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের ঘোষণা দিয়েছে। ঋণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবিও।

এছাড়া কদিন আগে কয়েকটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার চুক্তি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন-সহ বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা থেকেও ঋণ ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাচ্ছে সরকার। দেশে গড়ে উঠছে বিভিন্ন দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নয়ন সহযোগীদের উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বেগবান করবে। চাপ কমবে রিজার্ভের ওপর। তবে প্রতিশ্রুত ঋণ দ্রুত ছাড় কমানোর পরামর্শ তাদের।  

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, “বিশ্বব্যাংক থেকে জুনের মধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পাবে সরকার। এডিবি, এআইবি থেকেও ১ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। এছাড়া সরকার জাপান ও কোরিয়া থেকেও বাজেট সহায়তা চেয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরকে ইতিবাচক এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারাও। উৎপাদন খাত গতিশীল করতে কাঁচামাল আমদানির এলসি সহজ করার দাবি তাদের।  

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “অনেক জায়গায় এলসি দিচ্ছিনা, এসব করছি আইএমএফের কথা অনুযায়ী রিজার্ভ ঠিক রাখার কারণে। আমার মনে, নরমাল এক্টিভিটিজের মধ্যে আমাদেরকে থাকতে হবে। যদি ইডিএফ লোন দেখি, যেটিকে কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। ৭ বিলিয়ন ডলার ইডিএফের কারণে আমার ২৫ বিলিয়নের এক্সপোর্ট বাড়বে, এখন যদি কমানো হয় তাহলে এক্সপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

বৈদেশিক ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি