ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

এই আমাদের কুণ্ঠাবিহীন শেষ কথা

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ২০:১২, ১৪ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৭:২৭, ১৩ এপ্রিল ২০২২

এই আমাদের 
কুণ্ঠাবিহীন 
শেষ কথা

টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায়
লিখে দিতে চাই
ভিত্তিভূমি ও বিশ্ব সভায়
শহীদের সাধ করবো পূরণ
নব শতকের শপথ নিয়ে।

প্রতি লাইনের প্রথম অক্ষরগুলো একসাথে যোগ করলে যা হয় তা হলো- একুশে টেলিভিশন। একুশে টেলিভিশন আজ ২১ বছরে পা দিল। ২০০০ সালে ১৪ এপ্রিল ১লা বৈশাখ ১৪০৭ বঙ্গাব্দ বাঙালির বর্ষবরণে একুশের আত্মপ্রকাশ।

শৈশবেই তুমুল জনপ্রিয় এই টেলিভিশন মাত্র দু বছরের মাথায় থমকে যায়, অনেকটা গলা টিপে হত্যা করা হয়। সেদিন একুশের কর্মী ছিলাম না, কেবল একজন ভক্ত হিসেবেই ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে পথে নেমেছিলাম। স্লোগানে ছিল। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশে টেলিভিশন দেখতে চাই’। 

৫বছর অন্ধকারে থাকার পর ২০০৭ আবার পুনর্জন্ম হলো। অনেক স্বপ্ন আশা ভালোবাসা নিয়ে আমার একুশের সাথে পথচলা শুরু হয়। তারপর গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলা। 

চলার পথে ছিল শঙ্কা, ছিল সংকট। খেয়েছি হোচট। এমনি করে সময়ের সাথে এগিয়ে চলেছি একুশকে আঁকড়ে ধরে। ১৩ বছরে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করিনি কখনো। একুশের পথ চলাই যে বড় প্রাপ্তি। ভালবাসি একুশে। 

একুশের ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সকল দর্শক, শুভানুধ্যায়ী, ক্যাবল অপারেটর, বিজ্ঞাপনদাতা সহ একুশের সকল কর্মী কলাকুশলীদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ভালবাসা। 

আজকের এই দিনটা অনেক বড় উৎসবের দিন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এই শতকের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় চলছে পৃথিবীজুড়ে। সেই ঝড় বইছে আমাদের উপরও।  মহামারী করোনা মোকাবেলায় আমরাও যুদ্ধের মাঠে। তাই একুশের একুশ বছরে পদার্পণের উৎসব পালন করছি না। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎসব আয়োজনের সকল টাকা দান করা হবে, দুঃস্থ ও দুর্যোগে থাকা সাধারণ মানুষদের। 

উৎসব না হলেও একুশের প্রতি ভালোবাসা আবেগের কমতি নেই। লড়াই চলবে আমাদের। মৃত্যুর আগে মরবো না, কারন একুশ আমাদের শিখিয়েছে.... ‘একুশ মানে মাথা নত না করা।’

লেখক: মিডিয়া কর্মী
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি