এএসপি মিজানের সন্দেহভাজন দুই খুনি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
প্রকাশিত : ১০:২৫, ২৬ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৯, ২৭ জুলাই ২০১৭
প্রতিকী ছবি
ঢাকার রূপনগরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে হত্যায় জড়িত ছিল বলে পুলিশের ধারণা।
বুধবার ভোরের দিকে রূপনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) সুত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাইকারীদের অবস্থানের খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। এ সময় ছিনতাইকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় দুজন আহত হন। আহতদের দেখে ধারণা করা হয় যে, তারা এএসপি মিজানের হত্যাকারী জাকির ও ফারুক। পরে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
২১ জুন সকালে রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদারের পাওয়া যায়। তিনি হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের সাভার সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন।
ওই ঘটনায় তার ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেদিন ভোরে সেহেরি খাওয়ার পর সাধারণ পোশাকে উত্তরার বাসা থেকে কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এএসপি মিজানুর। যে জায়গায় তার লাশ পাওয়া গেছে, বাসা থেকে তা গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের পথ।
এরপর গত ২২ জুলাই রাতে টঙ্গী এলাকা থেকে শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এএসপি মিজান হত্যার পেছনে ছিল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
//আর//এআর
আরও পড়ুন