একুশে টেলিভিশনের নতুন এমডি ও সিইও রবিউল হাসান অভী
প্রকাশিত : ১৮:৪৩, ৮ জুলাই ২০২৪
একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রবিউল হাসান অভী। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও। একুশে টেলিভিশনের পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের পর রবিউল হাসানকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সৃষ্টিলগ্ন থেকে একুশের সঙ্গে যুক্ত রবিউল হাসান ১৯৯৭ সালে কাজ করেছেন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় এবং ১৯৯৯ সালে যুগান্তরে। ২০০১ সালে একুশের সম্প্রচার বন্ধের পরেও বছর দু’য়েক যুক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে।
পরে দক্ষতা উন্নয়নে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। কাজের ফাঁকে সেখানেও যুক্ত হন এটিএন বাংলায় লন্ডন অফিসে। ২০১৩ সালে তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহযোদ্ধা, লেখক-সাংবাদিক-গবেষক ও সাবেক সাংসদ বেবি মওদুদের অসুস্থজনিত কারণে দেশে ফিরে আসেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও স্বাধীন রাষ্ট্রগঠনে ভূমিকা বিষয়ক গবেষণালুব্ধ বই সম্পাদনায় যুক্ত হন। পরবর্তিতে সম্প্রচার ও বিপণন বিভাগের পরিচালক হিসেবে আবারও যুক্ত হন একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে।
দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে নির্মাণ করেছেন ধারাবাহিক তথ্যচিত্র ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। যেটি বাংলাদেশে প্রথম ধারাবাহিক তথ্যচিত্র হিসেবে পরিচিত।
দুই যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় বিপণন ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন রবিউল হাসান। পাশাপাশি লেখালেখিতেও হাতযশ রয়েছে মায়ের মতো। কিশোর বয়স থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সাহিত্য অঙ্গণে বিচরণের অভিজ্ঞতায় সায়েন্স ফিকশন সহ প্রকাশিত হয়েছে তার বেশ কয়েকটি বই।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সদস্য রবিউল হাসান অভী। পরিবর্তনে অঙ্গীকারাবদ্ধ শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা একুশে টেলিভিশনের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান অভী।
এসবি/