এক চাঁদের কত নাম!
প্রকাশিত : ১৯:৪৫, ৫ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৫৮, ১৫ জুলাই ২০১৯
সৌন্দর্যের প্রতিক চাঁদ। প্রেম, ভালোবাসা ও স্নিগ্ধতার প্রতিকও এই চাঁদ। কত শত উপমা রয়েছে আকাশের ঐ এক মাত্র চাঁদের। এই চাঁদকেই হাতের মুঠোয় নিয়ে কল্পনায় উপহারও দেওয়া হয়েছে।
কাব্য, গল্প, গান থেকে শুরু করে সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই চাঁদের মহা বিচরণ। রয়েছে মামা থেকে শুরু করে নানা আত্মীয়তার সম্পর্কের নাম। যেন ডাকলেই সাড়া দেয় চাঁদ।
শত জল্পনা ও কল্পনার এ চাঁদেরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ও ভিন্ন ভিন্ন নাম। কি সেই নাম গুলো?
ব্ল্যাক মুন
চাঁদের অনুপস্থিতিকে ব্ল্যাক বলাই ভালো। এ সময় চাঁদ যেন লুকিয়ে থাকে। ব্ল্যাক মুনের নানা ধরনের সংজ্ঞার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যটি হলো, যে মাসে কোনো পূর্ণিমা হয় না, সেই সময়কেই ব্ল্যাক মুন বলা হয়। ২৮ দিনের মাস হওয়ায়, এ ঘটনা কেবল ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘটতে পারে৷ ১৯ বছর পর পর আসে ব্ল্যাক মুন৷ সবশেষ ব্ল্যাক মুন এসেছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে৷ পরের ব্ল্যাক মুন আসবে ২০৩৭ সালে৷
সুপার মুন
পূর্ণিমার জোছনার ছটায় কোমর আদুরে স্পর্শে বিলিন হতে চায় সবাই। পূর্ণিমার সময়ে চাঁদ তার আলো কাছ থেকে ছড়াতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে। এ সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে চাঁদ বড় দেখায় বলে তাকে সুপার মুন বলা হয়।
ব্লাড মুন
চন্দ্রগ্রহণ দেখতে অনেকেই তাকিয়ে থাকেন আকাশের দিকে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাদা চাঁদের অংশবিশেষ বা পুরোটাই ঢেকে যায় পৃথিবীর কালো ছায়ায়৷ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণের সময় চাঁদ ধারণ করে টকটকে লাল রং৷ আর এই গ্রহণকেই ডাকা হয় ব্লাড মুন নামে৷ গবেষকরা বলেন, পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে গেলেও এই গ্রহণে সূর্যের কিছু আলো ঠিকই পৌঁছে যায় চন্দ্র পৃষ্ঠে৷ এটিই এই লাল রঙের কারণ৷
ব্লু মুন
নাম ব্লু বা নীল। কিন্তু চাঁদের রঙ কি নীল হয়? হয় না। একই মাসে দু’বার পূর্ণিমা হলে, দ্বিতীয়টিকে বলা হয় ব্লু মুন৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য বাতাসে থাকা ধুলোবালি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে চাঁদ নীল রং ধারণ করে৷ কিন্তু সেটাকে ব্লু মুন বলা হয় না৷ প্রতি তিন বছরে একবার আসে ব্লু মুন৷
সুপার ব্লাড ব্লু মুন
বিরলেরও বিরল ঘটনা হলো সুপার ব্লাড মুন। আকাশের চাঁদ একই সাথে সুপার, ব্লাড ও ব্লু মুনের বৈশিষ্ট্য ধারণ করলে সেটাকে সুপার ব্লাড ব্লু মুন বলা হয়৷
মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমায় যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসে এবং তখন চাঁদ মামা টকটকে লাল রং ধারণ করে, তখন সেটিকে সুপার ব্লাড ব্লু মুন নামেই ডাকা হয়৷
এমএস/এসি