এপ্রিলে আসছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান শক্তির নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম
প্রকাশিত : ১২:১৩, ১৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৪, ১৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটি।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনপিসি) যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
এই পোস্টের সঙ্গে একটি পোস্টারের ছবি যুক্ত করেছেন তিনি। তাতে লেখা আছে, এই প্ল্যাটফর্মটি আসছে এপ্রিলে। এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে একটি গুগল ফর্মও যুক্ত করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘৩৬ জুলাইয়ের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বহু মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ামুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এবং আধিপত্যবাদের বিপক্ষে কার্যকর অবস্থান—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গৌণ হয়ে পড়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের দাবিগুলো প্রকৃতই বাস্তবায়ন করতে চাই।’
আরও বলা হয়, ‘৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, তা পূর্ণতা দেয়ার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে এই বিপ্লব পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব। ‘
সবশেষে বলা হয়, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এই উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনের এই সংগ্রামে শামিল হই।’
এএইচ
আরও পড়ুন