ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এমআরের নামে ভ্রুণ হত্যার মহোৎসব ও অশনি সংকেত

স্বকৃত গালিব 

প্রকাশিত : ১৬:২৫, ১৫ মে ২০২০ | আপডেট: ২১:৫১, ১৫ মে ২০২০

খাদিজা আক্তার  (ছদ্ম নাম) একজন গৃহিণী। থাকেন রাজশাহী শহরে। স্বামী একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী। বিয়ের পরেই তাদের যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ছেলে সন্তানের আশায় আবার বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। বাচ্চা পেটে আসলে জানতে পারেন যে, তাদের ছেলে নয় কন্যা সন্তান হবে। তারপর এমআরের মাধ্যমে তাদের কন্যা সন্তানটিকে নষ্ট করে ফেলেন। এর এক বছর পর আবার বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এবার আবার কন্যা সন্তান হওয়ার কথা জানতে পেরেই এমআরের মাধ্যমে সন্তানটি নষ্ট করে ফেলেন। এর ১৬ মাসের মাথায়  আবার বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এবার তাদের ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তাদের এই কন্যা ভ্রুণ হত্যার কথা তাদের কাছের কয়েক জন আত্মীয় ছাড়া অন্য কাউকে জানতে দেওয়া হয়নি। এ তো শুধু এক  খাদিজার গল্প। এমন হাজারো খাদিজার গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারাদেশে। যারা ছেলে সন্তানের আশায় কন্যা সন্তানের ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলছে।

বাংলাদেশে এমআরের নামে কত কন্যা ভ্রুণ হত্যা হচ্ছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান বাংলাদেশের সরকারের কাছে নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুতম্যাকার ইনস্টিটিউট ২০১৪ সালে একটি জরিপ করে। সেখানে উঠে আসে, বাংলাদেশে প্রতি বছর  ১১ লাখ ৯৪ হাজার স্বপ্রণোদিত গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। সেই হিসেবে দৈনিক গড়ে এ ধরনের গর্ভপাতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭১টি।

দেশে এমআর বা মিনস্ট্রুয়াল রেগুলেশনের মাধ্যমে গর্ভপাত করা এক জনপ্রিয় মাধ্যম। এমআর বা মিনস্ট্রুয়াল রেগুলেশনের মাধ্যমে গর্ভপাত করা হয় এক ধরণের লম্বা নল জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের মাধ্যমে শিশুটিকে শুষে আনা হয়। এই পদ্ধতিতে অনেক ঝুঁকি থাকায় এখন এমআরের বিকল্প হচ্ছে মিসোপ্রোস্টল বা MM-kit ও Oracal kit। MM-kit হচ্ছে Mifepristone (200mg) ও Misoporostol (200cmg)। এবং Oracal kit হচ্ছে Ibandonic Acid (150mg)+Calcium. Oratate (400mg)  এর সমন্বয়ে। এই দুইটি কিট Incomplete abortion এ ৯ সপ্তাহ সর্বোত্তম ২মাস মাসিক বন্ধ থাকার ক্ষেত্রে ব্যবহুত। অনেক সময় Incomplete abortion ক্ষেত্রে গাইনিকোলজিস্টরা এই প্রেসক্রিপশন করে থাকেন। খাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যই কাজ শুরু হয়। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় কিট বা মিসোপ্রোস্টল ঔষধ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে দেশে ২১টি কোম্পানি মিসোপ্রোস্টল তৈরি করে থাকে। বাজারে চলে এমন কতগুলো ব্র্যান্ড হচ্ছে মিসোটল, সাইটোমিস, আইসোভেন্ট, মিসোপা ও জি-মিসোপ্রোস্টল। প্রসব এবং মাসিক নিয়মিতকরণের জন্য (এমআর) ওষুধটির ব্যবহার বৈধ। তবে তা উপযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

এবার দেখা যাক, মানবদেহে কিভাবে ভ্রুণ বৃদ্ধি পায়। মানব ভ্রূণের নিষিক্ত হবার প্রায় ১২ দিন পর ভ্রূণটি (ব্যাস্টোসিস্ট) এক ধরণের হরমোন তৈরী করা শুরু করে। মায়ের প্রসাবে এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। ঠিক এই সময়টাকেই বেশীর ভাগ চিকিৎসক প্রেগন্যান্সীর শুরু বলে অভিহিত করেন। তৃতীয় সপ্তাহে, ১৮ থেকে ২১ তম দিনের মাথায় ভ্রূণের হৃৎপিন্ড স্পন্দিত হতে শুরু করে। চর্তুথ সপ্তাহে মাথা, পঞ্চম সপ্তাহে হাত-পা এবং ছয় সপ্তাহে চেহারা ‘শনাক্ত’ করার মত হয়। ষষ্ঠ সপ্তাহে ভ্রূণের আকার আধা ইঞ্চির মত থাকে। দশম সপ্তাহে চেহারাটা অনেকখানি পরিষ্কার থাকে। আল্ট্রাসাউন্ড করে জেন্ডার দেখা সম্ভব হতে পারে। তেরোতম সপ্তাহে ভ্রূণের আকার তিন ইঞ্চি এবং ওজন এক আউন্সের মত থাকে। ১৭ তম সপ্তাহে ভ্রূণের আকার আট ইঞ্চি এবং ওজন আধা পাউন্ডের মত থাকে। এসময় ভ্রূণের নড়াচড়া অনুভুত হতে পারে। ২২ তম সপ্তাহে ওজন বেড়ে এক পাউন্ডের মত হয়। এসময় ভ্রূণের শ্বাসযন্ত্র এত অপরিণত থাকে যে এ সময় গর্ভপাত হলে ভ্রূণের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ২৬ তম সপ্তাহে ভ্রূণের আকার চৌদ্দ ইঞ্চির মত এবং ওজন দুই পাউন্ডের মত হয়। এসময় শিশুর ব্রেইনের ডেভলপমেন্ট এতটা পূর্ণতা পায় যে প্রথমবারের মত কষ্ট অনুভব করতে সক্ষম হয়। ২৮ সপ্তাহে অনেকখানি পূর্ণাঙ্গ মানুষের মত ব্রেন ডেভলপমেন্ট হয়ে যায় ভ্রূণের। এরপর থেকে ভ্রূণ ক্রমাগত পূর্ণাঙ্গ শিশুতে পরিনত হতে থাকে। সর্বোচ্চ ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবার পর জন্ম নেয় মানব শিশু।

বাংলাদেশে ধর্মীয় ও আইনগতভাবে এমআর নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয় ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩১২-৩১৮ ধারার মাধ্যমে,  যদি না নারীর জীবন বাঁচাতে গর্ভপাতের প্রয়োজন হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে গর্ভপাতের আইনের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়। ১৯৭২ সালের অর্ডিনেন্স অনুসারে যেসব নারী মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের জন্য গর্ভপাত বৈধ করা হয়। এবং এই অর্ডিনেন্স অনুসারেই গর্ভবতী হওয়ার ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত এমআরকে বৈধতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মাসিক নিয়মিতকরণ বা মেনস্ট্রুয়াল রেগুলেশনের (এমআর) আইন ১৯৭৯ এর মাধ্যমে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এমআর করার বৈধতা দেওয়া হয়।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের  আইনকে অমান্য করে যে কোন হাসপাতালে যে কোন গর্ভবতী নারীর এমআর করা হচ্ছে।

ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন এক গবেষণা পত্রে দাবি করে মানুষের ভ্রূণ হল মানুষের একটা আকার। তাই ধর্মীয় বিবেচনায় গর্ভপাত হলো চরম ভুল বা সরাসরি খুন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে তাই গর্ভপাত বিরাট অপরাধ বিবেচিত হয়, এমনকি যদি এই ভ্রূণ মানুষেরই রোগ সারানোর জন্য স্টেম সেলের গবেষণায় ব্যবহৃত হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক  প্রতিষ্ঠান গুতম্যাকার  ইনস্টিটিউট ২০১৪ সালের এক জরিপের মতে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫৩ লাখ নারী গর্ভবতী হয়। যাদের বয়স ১৫ থেকে ৪৯  বয়সের ভিতর। এই সব গর্ভবতী নারীর মধ্যে ২৫ লাখ নারী ইচ্ছাকৃত গর্ভধারণ করে এবং ২৮ লাখ নারী অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ করে। এই ২৮ লাখ অনিচ্ছাকৃত গর্ভবতী নারীর মধ্যে ১১ লাখ ৯৪ হাজার নারী বিভিন্ন কারণে গর্ভপাত ঘটায়। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ২৯ নারী গর্ভপাত ঘটায়। অপরদিকে ২০১০ সালে গার্টমেকার ইন্সটিটিউট এক জরিপ করে দাবি করে, বাংলাদেশে  ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ টি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১৮.৩ জন নারী গর্ভপাত  ঘটায়। আর এই সব নারীর বয়স ১৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অন সেক্সচুয়াল রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এন্ড রাইট ভলিউম  ১২, ২০০৪ এক প্রতিবেদনে দাবি করে বাংলাদেশে ২০০০ সালে ৫ লাখ নারী গর্ভপাত ঘটায়। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১৫ জনের নিচে নারী গর্ভপাত  ঘটায়। যেখানে ২০০০ সালে ৫ লাখ নারী গর্ভপাত করায়,২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ,এবং ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লাখ। ১ লাখ ৫৩ হাজার গর্ভপাতের সংখ্যা বৃদ্ধি  পেতে সময় লাগে ১০ বছর এবং এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার হতে সময় লাগে মাত্র ৪ বছর। অর্থ্যাৎ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে গর্ভপাতের হার জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার যদি একই থাকে তাহলে ২০১৪ সাল থেকে  ২০২০ সাল পরবর্তী ৬ বছরে গর্ভপাতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৩০ লাখ। অর্থ্যাৎ প্রতি হাজারে ৭৩ জন নারী গর্ভপাত করাচ্ছে।

দেশে প্রতি বছর এত গর্ভপাতের পরেও কিছু মানুষ আবার প্রশ্ন করবে ভ্রুণতো কষ্ট পায় না তবে হত্যা করলে সমস্যা কি? যদি ভ্রুণের নার্ভাস সিস্টেম ডেভলপ করার আগেই বা ২৬ সপ্তাহের আগেই গর্ভপাত করা হয় তাহলে অবশ্যই ভ্রূণের কষ্ট পাবার প্রশ্ন আসে না। কিন্তু ভ্রুণের নার্ভাস সিস্টেম ডেভলপ করার পর বা ২৬ সপ্তাহের পর ভ্রুণ কষ্ট পাওয়া শুরু করে। যদিও নার্ভাস সিস্টেম ডেভলপ করার পরও ভ্রূণের কষ্ট পাবার পরিমান একটা পূর্ণাঙ্গ প্রাণী হত্যার চেয়ে অনেক অনেক কমই থাকে। আবার প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে তো এমআর করা বৈধ। আর এমআর করা মানে শিশু হত্যা নয়। কিন্তু বাংলাদেশে আইনে বৈধ এমআর হচ্ছে ভ্রুণের বয়স যখন  ১২ সপ্তাহের কম বা ১২ সপ্তাহ, আর ১২ সপ্তাহের বেশি ভ্রুণ হত্যা করা অবৈধ শাস্তি এবং যোগ্য অপরাধ। আবার অনেকেই এমআরের মাধ্যমে ভ্রুণ হত্যা বৈধ বলতে গিয়ে, সেটা বাড়তে বাড়তে  শিশু হত্যায় রূপ নেবে। একই যুক্তি ইউথেনেসিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু সর্ম্পকে প্রযোজ্য। একইভাবে বলা যায়, যদি স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার দেয়া হয় তাহলে সবাই দাদা-দাদীর কষ্ট হচ্ছে এই যুক্তি দিয়ে তাদের হত্যা করে তাদের সম্পত্তি দখল করে নিবে। অনুরূপভাবে বলা যায় যে, ধর্ম যদি না বলতো, ‘Thou salt not kill’ তাহলে সবাই সবাইকে হত্যা করে ফেলতো। যুক্তি হিসেবে অকাট্য মনে হলেও এটা আসলে সত্য। অবশ্য গর্ভপাতের বিরোধী ধর্মীয় গোঁড়া পক্ষ, এত জটিল কথাবার্তার ভিতর দিয়ে যায় না। তারা দাবী করে ভ্রূণ মানেই একজন শিশু এবং গর্ভপাত মানেই শিশু হত্যা।

 ২২ জুন ২০১৪, প্রথম আলোর আয়োজনে ‘অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ ও নিরাপদ এমআর সেবা, বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের মধ্যে ওবায়দুর রব বলেন, দেশের মোট গর্ভধারণের এক-তৃতীয়াংশ গর্ভধারণ অনিচ্ছাকৃত ও অপরিকল্পিত। বছরে মোট গর্ভধারণের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪২ লাখ। এর এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ গর্ভধারণ অনিচ্ছাকৃত। ধারণা করছি, ২৫ থকে ৩০ বছর পর আমাদের দেশে জন্ম ও মৃত্যুহার সমান হবে। অর্থাৎ ২০ লাখ শিশু জন্ম নিলে ২০ লাখ মানুষ মারা যাবে। এখন মোটামুটি দেশে ৩০ লাখ শিশু জন্ম নিচ্ছে, ১০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। বছরে ২০ লাখ মানুষ যোগ হচ্ছে। এ সময় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ৩০ থকে ৩৫ বছর পর আমাদের দেশে জন্ম হারের চেয়ে মৃত্যুহার বেশি হবে। অপর দিকে আরেক আলোচক মোমেনা খাতুন বলেন, ২০১০ সালের এক জরিপে দেখা যায়, ৬৩ শতাংশ এমআর হয় সরকারিভাবে। ২৮ শতাংশ সেবা দেয় এনজিও খাত। ৯ শতাংশ এমআর হয় ব্যক্তি খাতে। তাই সরকারেই এই অপরিকল্পিত গর্ভপাত বন্ধ করার কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কানাডা, জাপান, মধ্যপ্রচ্য, ইউরোপের দেশ গুলোর মতন বাইরে থেকে মানবসম্পদ নিয়ে এসে দেশের শ্রমশক্তির চাহিদা মেটাতে হবে ।তাই এখনি উপযুক্ত সময় এমআরের নামে অপরিকল্পিত গর্ভপাতের বিরুদ্ধে সমাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার।

লেখক: শিক্ষার্থী, শেষ বর্ষ, স্নাতক (সম্মান), আইন বিভাগ, কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সদস্য, কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)।


 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি