ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

এমবাপ্পের দরে যা যা করা সম্ভব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫০, ১৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:২৮, ১৪ আগস্ট ২০১৭

৪৪ ম্যাচে ২৬ গোল। গত মৌসুমে এমন পারফরম্যান্সে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শীর্ষপর্যায়ে মাত্র এক মৌসুমই কেটেছে। তবে ১৭ পেরোনো এক ছেলে ইউরোপের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় এমনই নজর কাড়লেন যে তাঁকে নিয়ে এখন কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে।  স্প্যানিশ ও ফরাসি সংবাদমাধ্যমের দাবি, কাড়াকাড়িতে এমবাপ্পেকে লুফে নিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে (প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) ১৮ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে মোনাকো থেকে কিনছে রিয়াল!


টাকার অঙ্কটা অবশ্যই চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো! ২০১৬ সালে পল পগবাকে কিনতে ১০৫ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। আর রিয়াল তাদের বর্তমান কোচ জিনেদিন জিদানকে দলে টানতে ২০০১ সালে দিয়েছিল ৭৫ মিলিয়ন ইউরো। দুটি দলবদলের অঙ্ক যোগ করেই এমবাপ্পেকে কিনতে হচ্ছে এবার!

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা এই বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়ে আর কী কী করা যেতে পারে সেই তুলনা টেনেছে—

ধনকুবেরদের দ্বীপ কেনার খবর এখন আর সংবাদ শিরোনাম হয় না। তবে এর মাঝেও আলাদা হয়ে আছে থাইল্যান্ডের র্যাং  ইয়াই দ্বিপ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যক্তিমালিকানাধীন এই দ্বীপের মূল্য ১৫০ মিলিয়ন ইউরো। এমবাপ্পের জন্য এর চেয়েও বেশি খরচ করতে রাজি রিয়াল।

কোনিগসেগ সিসিএক্সআর ট্রেভিটা—বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি এটি। বিশ্বে এই গাড়ি আছেই মাত্র দুটি। মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে ১০০ কিলোমিটার (ঘণ্টা) গতি তোলা যায় এতে। ঘণ্টায় ৪১০ কিলোমিটার গতিতেও চালানো যায় এই গাড়ি। এমন একটি গাড়িও আপনি কিনতে পারবেন মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরোতে (যদি গাড়ি নির্মাতারা রাজি হয়)! এমবাপ্পেকে না কিনে চাইলে এমন ৪০টি গাড়িও কেনা সম্ভব!

চাঁদ ভ্রমণে যাওয়ার ঘটনাও দেখেছে মানুষ। সর্বশেষ এমন কোনো ভ্রমণের জন্য অভিযাত্রীদের ১১০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হয়েছিল। এমবাপ্পেকে না কিলে কয়েকবার চাঁদেও ভ্রমণ করা সম্ভব হত।

‘দ্য ম্যানর’ নামের এই প্রাসাদসম বাড়ি ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত। দাম? মাত্র ২০০ মিলিয়ন ইউরো। নেইমার ও এমবাপ্পের দামের গড়!

সৌদি প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল ব্যক্তিগত কাজে একটি বোয়িং ৭৪৭ কিনেছিলেন। চার শতাধিক আসনের সেই বিমান কিনতে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছিল প্রিন্সের।


ম্যারি আন্তোনিত্তে—বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি এটি। ১৭ ও ১৮ শতকে প্রায় ৪০ বছরের পরিশ্রমে বানানো হয়েছিল এই ঘড়ি। সোনা, প্লাটিনাম, রুবি ও স্যাফায়ার দিয়ে সৃষ্ট এই ঘড়ির মূল্য ২০১৩ সালে ২৫ মিলিয়ন ইউরো বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল। পৃথিবীতে এই ঘড়ি মাত্র একটি থাকলেও, এমবাপ্পের দাম দিয়ে আরও ছয়টি ঘড়ি বানিয়ে নেওয়া সম্ভব!


ম্যাকাওয়ের ‘দ্য থারটিন’ বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল হোটেল। এখানে এক রাত যাপনেই খরচ হয় ১ লাখ ইউরো (প্রায় ৯৪ লাখ টাকা)! এমবাপ্পের অর্থে অবশ্য এই হোটেলেই ১ হাজার ৮০০ দিন অনায়াসের কাটিয়ে দেওয়া যাবে।

//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি