এরশাদের স্থলাভিষিক্ত হলেন কাদের
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ১৮ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৩৪, ১৮ জুলাই ২০১৯
এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির প্রধানের দায়িত্বেকে আসছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জটিলতা। তবে সব জটিলতা আর নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে এরশাদের ছোটভাই জিএম কাদেরকেই চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি।
আজ বুধবার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের পক্ষ থেকে কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। এসময় জিএম কাদের তার পাশেই ছিলেন।
জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকেই সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেলেও, ছিলেন না এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় সংসদের উপনেতা রওশন এরশাদ।
সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গা বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের ০/১ ক ধারা অনুযায়ী এরশাদ মৃত্যুর আগে তার ছোটভাই জিএম কাদেরকে তার অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। বলেন, আজ থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জিএম কাদেরই হবে দলের চেয়ারম্যান।
গত ১৪ জুলাই রাজধানীর সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ। এরপর দলকে কে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে শুরু হয় নাটকীয়তা।
মৃত্যুর আগে এরশাদ জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার অবর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এরশাদ চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে গেলে দলের ও সংসদে বিরোধীদলের উপনেতার দায়িত্ব ছোটভাইয়ের হাতে দিয়ে যান।
এরপর বিদেশ থেকে ফিরে সাংগাঠনিক ব্যর্থতার দায়ে কাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন।
এর দু’সপ্তাহ পর পুনরায় এরশাদ তার স্ত্রী রওশনকে সংসদের উপনেতা ও দলের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। আর জিএম কাদেরকে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসান।
যদিও দলের চেয়ারম্যানের এরকম একক সিদ্ধান্তে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
এরপর থেকেই এরশাদ পত্নী রওশনের তৎপরতা শিতল হতে থাকে। পার্টির কোন অনুষ্ঠানে তেমনটা দেখা যায়নি তাকে।
এমতাবস্থায় দলের প্রধান মারা গেলে দলের শীর্ষ পদ নিয়ে চলে জটিলতা। অনেকে ভেবেছিলেন রওশন এরশাদকেই প্রধানের চেয়ারে বসানো হতে পারে।
বিশেষ করে দলের মধ্যে যারা এরশাদ বিরোধী ছিলেন, তারা জোর দিয়েই বলেছিলেন রওশনেই ভরসা রাখবে জাতীয় পার্টি।
তবে সকল জল্পনা-কল্পনার ইতি ঘটিয়ে দলের প্রধানের চেয়ারে বসলেন ছোটভাই জিএম কাদের। ফলে, দলের সঙ্গে বিরোধী দলেরও দায়িত্ব যে তিনি পালন করছেন তা নিয়ে আর কোন সন্দেহের অবকাশ রইলো না।
আই/টিআর
আরও পড়ুন