এলসির বদলে চুক্তিতে রপ্তানি হচ্ছে তৈরি পোশাক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৯, ৮ আগস্ট ২০২৩
ঋণপত্র বা এলসির বদলে চুক্তিতে রপ্তানি হচ্ছে বেশিরভাগ তৈরি পোশাক। এতে বিদেশি ক্রেতার খরচ কমলেও ঝুঁকি বেড়েছে রপ্তানিকারকদের। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ক্রয়াদেশের বিপরীতে ব্যাংকের ঋণপত্রের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। প্রচলিত এ ব্যবস্থায় আইনি সুরক্ষাও পান রপ্তানিকারকরা। তবে গেল কয়েক বছর ধরে খরচ কমাতে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তৈরি পোষাকখাত সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রয়াদেশই দেয়া হচ্ছে চুক্তিতে।
দীর্ঘদিনের দিনের পরিক্ষিত ক্রেতাদের ক্ষেত্রে চুক্তিতে কোন সমস্যা হয় না। তবে নতুন বা অপেক্ষাকৃত ছোট ক্রেতাদের ক্ষেত্রে চুক্তির নামে প্রতারণার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি চুক্তিতে অনেক ক্ষেত্রেই বাকি তথা ডেফার্ড পেমেন্টের ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “কিছু কিছু বায়িং হাউজ নিজেরাই বায়ারকে অফার করছে ১২০ বা ৬০ দিনের ডেফার্ড অফার। অর্থাৎ আমার পুঁজি আমার টাকা দিয়ে বায়ার ব্যবসা করার পর আমাকে টাকা দিবে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই জায়গাটায় কঠোর হওয়া উচিত। ডেফার্ড প্রেমেন্ট গ্রহণ করা যাবেনা।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংক গ্যারান্টি থাকায় ঋণপত্র রপ্তানিকারকদের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “একটা ঝুঁকি হয়ে যায় আমাদের ব্যবসার জন্য। যখন খারাপ আসে তখন বায়াররা যদি বলে এখন আমি মাল নিবো না, দেরি করবো ইত্যাদি।”
হুট করে চুক্তি বন্ধ করতে গেলে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই, যেসব ক্রেতারা জালিয়াতি করেছেন তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “ধারাবাহিকভাবে যাদের সঙ্গে বিজনেস হচ্ছে তাদের সঙ্গে সেলস কন্ট্রাক্টে সমস্যা নেই। সেখানে হতে পারে কিন্তু এটা একটু ফিল্টারিং হওয়া দরকার যে, কার সঙ্গে কিভাবে হবে।”
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বিজিএমইএ বলতে পারে যে, এটা তাদের সদস্যরা যাতে না করে। অথবা তারা বলতে পারে, বড় একটা অংশ তারা টিটি করে দিক।”
নতুন ক্রেতাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ঋণপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ নেয়ার আহবান এই দুই বিশেষজ্ঞের।
এএইচ
আরও পড়ুন