ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘এসআই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, অথচ তিনি ছাত্র নন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তার ভাষ্য মতে, পুলিশের এসআই পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। এখন বাকি মৌখিক পরীক্ষা। সর্বশেষ পুলিশ ভেরিফিকেশন। এরপরই কাঙ্ক্ষিত চাকরি। তবে একের পর এক সব ধাপ পার হতে যাওয়া ওই ব্যক্তি কোনো শিক্ষার্থী-ই নয়। সম্প্রতি গণবিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রশাসনের জালে ধরা পড়েছেন তিনি।

ভুয়া সনদপত্র ধারণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে এসআইএ’র মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মোঃ সোহাগ হোসেন। সোহাগ ফিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের আঃ জলিলের ছেলে। ভুয়া সনদপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সোহাগ ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে বিবিএ সম্পন্ন করেছে।

তবে তার কাগজপত্র ভর্তি শাখা, রেজিস্ট্রেশন শাখা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ ও সর্বোপরি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখায় পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তার টেস্টিমোনিয়াল, মার্কশিট, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সবই ভুয়া এবং কাগজপত্রে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ যাদের স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে সেগুলোও নকল এবং মূল স্বাক্ষরের সঙ্গে কোন মিল নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে এসে নিজেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের একজন উত্তীর্ণ ছাত্র পরিচয় দিয়ে সোহাগ জানায় যে, সে পুলিশের এসআই পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সে জানায়, যে তার ফলাফল আগে অনলাইনে পাওয়া যেত, এখন পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ বিভাগ থেকে অনলাইনে ভেরিফিকেশন করা হবে।

তার কাছে প্রাপ্ত মার্কস শীটের লেখা দেখে বিভাগীয় প্রধানের সন্দেহ তৈরি হলে মোঃ সোহাগ হোসেনের কাছে তার বিভাগের ব্যাচ নম্বর ও পরীক্ষার আইডি নম্বর জানতে চান। তার দেওয়া তথ্য সন্দেহজনক মনে হলে, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার শাখাসহ সব শাখায় যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে তার সার্টিফিকেট নকল মনে হলে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি