ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

এস আলমের ১৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৩, ২২ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২২:৪৮, ২২ নভেম্বর ২০১৯

কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাওয়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে এর দাম। দেশের বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস. আলম গ্রুপ পেঁয়াজের উর্দ্ধমূল্য ও সংকট কাটাতে ৫৮ হাজার ৫০০ শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে। ইতিমধ্যে ১৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছেছে।

এস আলম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহা ব্যবস্থাপক সালাহ উদ্দিন একুশে টেলিভিশনকে জানান, ‘কার্গো বিমানে করে আমাদের ১৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছেছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে আরও বড় চালান এসে পৌঁছাবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সংকট কাটাতে আমরা কেনা দামের চেয়ে কম দামে এ পেঁয়াজ বিক্রি করছি।’   

তিনি আরও জানান, ‘দেশের চলমান পেঁয়াজের ঘাটতি এবং বেশি মূল্যের কারণে দেশের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়ে এস. আলম গ্রুপ মিসর ও তুরস্ক থেকে বাষ্ক ও কন্টেনারের মাধ্যমে সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫৮ হাজার ৫০০ শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। যেহেতু সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানিতে বেশ কিছুদিন সময় প্রয়োজন। তাই দেশের মানুষের চাহিদা দ্রুত মেটাতে এস. আলম গ্রুপ আকাশ পথে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্যাসেঞ্জার ও কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ইতোমধ্যে আরও ১ হাজার ৭ শত ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর গভীর রাত থেকে আকাশ পথে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে পৌঁছতে শুরু করেছে।’

সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবারও বিসমিল্লাহ এয়ার লাইন্সের কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ১০৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। আজ শুক্রবারও কায়রো এয়ারের একটি কার্গো উড়োহাজাজে আরও ৫৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ঢাকায় আসে। এভাবেই চাহিদা মোতাবেক পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১০টি কার্গো উড়োজাহাজ বুকিং নিশ্চিত করা হয়েছে। যার প্রতিটিতে ১০৫ থেকে ১১০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। যতদিন সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক না হবে ততদিন আমদানি করা হবে পেঁয়াজ।’

এস. আলম’র আমদানিকৃত সকল পেঁয়াজ টিসিবি’র মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
 
জ্যেষ্ঠ এ মহা ব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে পেঁয়াজ আনছি। আগামীকাল ভোররাতেও একটি উড়োজাহাজ এসে পৌঁছবে। আসলে সব থেকে বড় কার্গোতে করেও ১ শত ৫ টনের বেশি আনা যায় না। তাই একটু সময় লাগছে। সমুদ্র পথে পেঁয়াজবাহী কন্টেইনার জাহাজ আসছে। এ মাসের মাঝামাঝিতে মিসর থেকে জাহাজ বন্দর ত্যাগ করেছে। একই সঙ্গে মিসরে পেঁয়াজের স্বল্পতা থাকায় আমরা তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আনছি। বাহনে সৌদি এয়ারলাইন্সও যুক্ত হয়েছে।’

কি দরে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ পেঁয়াজ সরকারীভাবে টিবিসিতে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ট্রাকে করে এ পেঁয়াজ সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। দেশটিতে পেঁয়াজের অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে চাপ পড়ে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকার পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। সংকট কাটাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও শেষ পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি