ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

এ এস এম কামাল উদ্দিনের ‘বাঘা যতীন স্মরণ-উৎসব’

ড. রকিবুল হাসান

প্রকাশিত : ১৭:৫২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২০:৫৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

১.
বিপ্লবী বাঘা যতীন ১৯১৫ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর বালেশ্বরে ব্রিটিশদের সৈন্যবাহিনীর সাথে অসম এক যুদ্ধে পেটে ও বগলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রচন্ড আহত হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর আত্মাহুতি দেন। এরপর দীর্ঘকাল কেটে গেলেও এদেশে কখনও তাকে স্মরণ করা হয়নি। এমন কি তার জন্মভিটা কুষ্টিয়ার কয়া গ্রামেও কখনও তাকে স্মরণ করা হয়নি। এক সময়ের প্রগতিশীল রাজনীতিক ও বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা এ এস এম কামাল উদ্দিনের উদ্যোগে ২০১১ সালে মহান এই বিপ্লবীকে কয়ায় তার জন্মভিটায় আমরা প্রথম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। এর পরের বছর ১০ সেপ্টেম্বর এ এস এম কামাল উদ্দিনের উদ্যোগে ও সহযোগিতায় মহান বিপ্লবীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণভাবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কুষ্টিয়ার সে সময়ে জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক, ঢাকা থেকে এ এস এম কামাল উদ্দিন ও তার সহধর্মিনী ফাতেমা কামাল এবং প্রখ্যাত অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ অনুষ্ঠানে অংশ উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে মানুষের যে ঢল নেমেছিল, তা আজও বিরল এক ঘটনা।

২.
আমাদের গ্রামে বাঘা যতীনের বাড়ি। বাবা-দাদার মুখে তার নাম শুনেছি। গল্প শুনেছি। তবে তা এক রত্তি। একা লড়াই করে একটা ভোজালি দিয়ে বাঘ মেরেছিলেন। আর নিজে ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। এর বেশি শুনিনি। ছোটবেলায় যখন তার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটেছি, ভাঙা প্রাচীর, ইটখসা গেট দেখেছি। তখন এ বাড়িতে অন্যদের বসতি। তারও আগে অন্যরা বাস করতো। এই অন্যরা হলেন আফতাব কন্ট্রাক্টর ও তার ভাইয়েরা। তখনকার ধনী মানুষ। এরপর অহিরদ্দিন মালিথাদের বসতি গড়ে ওঠে এখানে। মুখে মুখে নামটা ঠিকই থেকে যায়, বাঘা যতীনের বাড়ি। বাড়িটা যে বাঘা যতীনের, তাও ঠিক নয়। এটা তার মামাদের বাড়ি। নানা ছিলেন বিশাল প্রভাবশীল ব্যক্তি। প্রচুর সম্পত্তির মালিক। নাম মধুসূদন চট্টোপাধ্যায়। তার বাবা হরিসুন্দরও প্রভাবশীল ছিলেন। এলাকার প্রধান তারাই ছিলেন। বাঘা যতীন আসলে এ পরিবারের ভাগ্নে। শরৎশশী দেবীর সন্তান। তিনি এ বাড়িতেই জন্মেছিলেন। 

জন্মের পরে পাঁচ বছর বাবার বাড়ি ঝিনাইদহের সাধুরহাটির রিশখালি গ্রামে ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে তার বড় মামা বসন্তকুমার চ্যাটার্জি বোন ও ভাগ্নে-ভাগ্নিদের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। অর্থাৎ কয়া গ্রামে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া গ্রামে। এরপর থেকে তিনি কয়া গ্রামের সন্তান হয়ে ওঠেন। তার পরিচয় হয়ে ওঠে কয়া গ্রামের সন্তান। ‘কয়ার ভাগ্নে’ শব্দটা খসে ‘কয়ার সন্তান’ হয়ে ওঠেন তিনি। চ্যাটার্জি পরিবারের ভাগ্নে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ বাঘা যতীন চ্যাটার্জি পরিবারের সন্তান হয়ে ওঠেন। তার নামেই বাড়ির পরিচিতিও পরিবর্তন হয়ে যায়। চ্যাটার্জিদের বাড়ি হয়ে যায় বাঘা যতীনের বাড়ি। কয়ার স্কুল-বাজার-গড়াই নদী দীঘল সবুজ মাঠ, সবকিছুতেই বাঘা যতীন মিশে একাত্ম হয়ে যান। এখানে একটু বলে রাখি, ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এ চ্যাটার্জি পরিবারের সন্তান। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাবা মোহিত কুমার চট্টোপাধ্যায় আর বাঘা যতীন আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। আরও খোলাসা করে বলি, বাঘা যতীনের ছোট মামা ললিত কুমার চ্যাটার্জির নাতি ছেলে তিনি।

৩.
বাঘা যতীন মানুষটা খুব বিখ্যাত। কিন্তু ওটুকুই। গ্রামে শুধু নামটুকুই ভেসে বেড়ায়, আর কিছু নয়। গ্রামের মানুষের মধ্যে তাকে নিয়ে যে বিরাট গর্ব বা অহংকার আছে, তাও মনে হয়নি আগে। তবে এখন মনে হয়। কেন মনে হয়? আগে কেন মনে হয়নি? এসব প্রশ্ন তো নদীর ঢেউ খেলার মতো ওঠানামা করতেই পারে। করেও। সাথে আরও প্রশ্ন উঠতে পারে, বাঘা যতীনের বাড়ির ইট-পাথর দ্রুত কেন নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে? কিভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। কারা এসব করেছে, কেন করেছে? বাড়িটা তো তারা বিক্রি করে চলে যাননি। চলে গিয়েছেন কৃষ্ণনগরে। সব তো ফেলেই রেখে গিয়েছিলেন। কিভাবে কারা কেমন করে এ বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক হয়ে গেল? কিভাবে একের পর এক হাত বদল হলো? এসব কথাও তো আসতে পারে। 
এসবই তো এক বিস্ময় প্রশ্নের পর প্রশ্ন। গড়াই নদীর ঢেউ যেমন মাথা উচু করে ওঠে, আবার আর এক ঢেউয়ে ডোবে। এ প্রশ্নগুলোও এখানে সে রকমই। ঔপন্যাসিক আকবর হোসেন এ গ্রামের আর এক বিখ্যাত সন্তান। তুমুল জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ছিলেন। পঞ্চাশ দশক থেকে শুরু করে তিনটা দশক তিনি বাংলাদেশের পাঠকদের নিজের পুরো দখলে রাখতে পেরেছিলেন। কম কথা নয়। তার কোন উপন্যাসে বা প্রবন্ধে বাঘা যতীনের নাম নেই। তিনি কোথাও তার নামটা উল্লেখ করেননি। বলেননি। কেন বলেননি এটাও তো একটা প্রশ্ন। এ প্রশ্নটাও তো ছোট নয়। বাঘা যতীনের মৃত্যুর দুই বছর পরে আকবর হোসেনের জন্ম। বাঘা যতীন আত্মাহুতি দিয়েছেন ১৯১৫ সালে ১০ সেপ্টেম্বরে। আকবর হোসেন জন্মেছেন ১৯১৭ সালের ১ অক্টোবরে। কয়া গ্রামেই তিনি বড় হয়েছেন। বাঘা যতীনের দেশপ্রেম ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লব গড়ে তোলা, যুদ্ধ করা, আত্মাহুতি দেয়া এসবের কিছুই কি বিখ্যাত এ ঔপন্যাসিকের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। দুই জনই তো একই গ্রামের সন্তান। কোন দায়বোধ কি তৈরি হয়নি নিজের গ্রামের এমন বিখ্যাত একজন সন্তানের জন্য? আমার নিজের ভেতরে এ প্রশ্নগুলো এসেছে। উত্তর জানি না। 

বাঘা যতীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন, যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন। এ রকম একটা বিষয় গ্রামের আর বিখ্যাত সন্তানের মধ্যে কেন প্রভাব ফেলেনি। বাঘা যতীন তো এসব উত্তরসূরীদের জন্যই দেশটা স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। ঔপন্যাসিক আকবর হোসেন কি দেশটা স্বাধীন হোক, ভারতবর্ষ স্বাধীন হোক তা চাননি? তার চেতনায় কেন বাঘা যতীন আসেনি এসব চিন্তা চলে আসে। তখনও কি সাম্প্রদায়িক ব্যাপারটা এসব চিন্তাশীল মানুষদের মধ্যে কাজ করতো? উত্তর জানা নেই। কিন্তু প্রশ্নটা এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্ব আসনে যারা একক চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, তাঁরাও বাঘা যতীনকে নিয়ে লিখেছেন। তার অবিশ্বাস্য রকম দেশপ্রেমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আরও বহু কবি-সাহিত্যিক তাঁকে নিয়ে লিখেছেন। চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। অথচ তারই গ্রামের বিখ্যাত আর এক সন্তান ঔপন্যাসিক আকবর হোসেনের কাছে তিনি ‘সাড়াশব্দহীন’ থেকে গেলেন। তার কলমে একটি শব্দও লেখা হলো না মহান এ বিপ্লবীকে নিয়ে। কেন যেন এসব এখন প্রশ্ন হয়ে মনের ভেতর বুদবুদ কর উঠছে।

৪.
ব্রজেন বিশ্বাস নামে একজন রাজনীতিক ছিলেন এ গ্রামে। লোকাল রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তিনিও একটু আধটু লিখতেন। জনসভায় ভাল বক্তৃতা করতেন। তিনিও তো বাঘা যতীনকে নিয়ে একটা কথা বলেননি। তাকে নিয়ে কোন স্মরণ সভা করেননি। গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে বাঘা যতীনের আলোটা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেননি। তিনি কি মুসলমানদের ভয় করতেন? বাঘা যতীনের নাম বললে, বাঘে খেয়ে ফেলবে। অথচ সারাজীবন তিনি বাম রাজনীতি করেছেন, আদর্শের গল্প করেছেন, সাহসের কথা বলেছেন, আমাদের কাছেও কত জনের কত কাহিনী বলেছেন, বাঘা যতীনের কথা তো কখনও বলেননি। 

নিজের গ্রামের বিখ্যাত সন্তানটির জীবন-ইতিহাস নিয়ে কোন দিন কিছু বললেন না, কিছুই লিখলেন। কেন লিখলেন না, কেন বললেন না, এ এক অদ্ভুত রহস্য! বাঘা যতীন হিন্দু-মুসলামানের কথা ভাবেননি। তিনি ভারতবর্ষের মুক্তির কথা ভেবেছেন, ভারতবর্ষের সব মানুষের মুক্তির কথা ভেবেছেন, স্বাধীনতার কথা ভেবেছেন। ভেবেই চুপ করে থাকেননি। আন্দোলন করেছেন, বিপ্লব করেছেন, যুগান্তর দলের প্রধান হয়েছেন, বিপ্লবীদের সংঘঠিত করেছেন, জার্মান শক্তির সাহায্য চেয়েছেন, সশস্ত্র বিপ্লব করে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূর্য তৈরি করবেন বলে। শেষে হার-না মানা অসম এক যুদ্ধে নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলেন। অনায়াসে যুদ্ধ না করে, পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করতে পারতেন। ভীরু কাপুরুষের মত তা করেননি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও এক পা তিনি পিছ পা হননি। বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু কওে যুদ্ধ করে, শরীরের প্রতিটি ফোটা রক্ত দেশের মুক্তির জন্য উৎসর্গ করেছেন। অথচ তিনিই নিজের গ্রামে কী ভীষণভাবে উপেক্ষিত, অবহেলিত, অসম্মানিত।

৫.
প্রায় দুই যুগ আগে আমার পরিচয় হয়, এক সময়ের প্রগতিশীল রাজনীতিক ও বিশিষ্ট শিল্পদ্যোক্তা এ এস এম কামাল উদ্দিনের সাথে। আমি তখন ঢাকায় জীবন-জীবিকার জন্য কঠিন যুদ্ধ করছি। একটি পাক্ষিক পত্রিকায় কাজ করি। আমার বাড়ি কুষ্টিয়া জেনে তিনি বললেন, বাঘা যতীনের বাড়িও তো কুষ্টিয়া। আমি খুব গর্ব করে তখন বললাম, হ্যাঁ বাঘা যতীনের গ্রামই তো আমার গ্রাম। আমাদের বাড়ি একই গ্রামে। তিনি অনেক খুশি হয়ে জানতে চাইলেন, বাঘা যতীন সম্পর্কে আপনি কিছু জানেন? 
আমাদের গ্রামের সবাই বাঘা যতীন সম্পর্কে যতটুকু জানে, আমিও অতটুকুই জানি। তিনি এক রকম হতাশই হলেন। তিনি বাঘা যতীনের গল্প বললেন। তার জীবনের, বিপ্লবের বিভিন্ন ঘটনা বললেন, বাঘা যতীনকে নিয়ে অনেক বইপত্র আছে তাও জানালেন। তখন নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছিল, আমার নিজের গ্রামে এতো বড় বিখ্যাত একজন বিপ্লবীর জন্ম, বেড়ে ওঠা, যাকে নিয়ে গোটা ভারতবর্ষ গর্ব করে, আমরা তার নিজের গ্রামের সন্তান হয়ে কিছুই জানি না। সেই থেকে বাঘা যতীন সম্পর্কে জানতে শুরু করি। তিনি নিজে কয়া গ্রামে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। ২০১১ সালে তিনি কয়া গ্রামে প্রথম এলেন। সপরিবারে এলেন। সাথে এলেন আমার বন্ধু আসাদুল ইসলাম আসাদ। টেক্সেল ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির চেয়ারম্যান। মেহেরপুরের সন্তান। এ এস এম কামাল উদ্দিন গ্রামের মানুষদের বললেন, বাঘা যতীনের কথা, বললেন- তার মহান আত্মত্যাগের কথা। সমস্ত মানুষ যেন নড়েচড়ে উঠলো, আমরা তো এসব কিছুই জানি না। তিনি বললেন, ‘বাঘ এখন নড়ছে। দেখবেন এক সময় বাঘ দৌঁড়াবে।’

সত্যি তাই হলো এর পরের বছর বাঘা যতীনের জন্মবার্ষিকী আয়োজনের প্রস্তুতি নিই। আমার বন্ধুরা এগিয়ে এল, এক সাথে একই চেতনায়। অনেক মুরুব্বি এগিয়ে এলেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমরা বাঘা যতীন সম্পর্কে জানাতে চেষ্টা করলাম। বাঘা যতীনের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে, জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক আসবেন। আগে তো কোন জেলা প্রশাসক এখানে এভাবে আসেননি। ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো সবার কাছে। ঢাকা থেকে আসবেন শিল্পোদ্যোক্তা-সমাজচিন্তক এ এস এম কামাল উদ্দিন, প্রখ্যাত অভিনেতা-লেখক খায়রুল আলম সবুজ আসবেন। গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেলো। বাঘা যতীনের বাড়িতে এই প্রথম মানুষের ঢল নেমে এলো তাকে সম্মান জানাতে-শ্রদ্ধা জানাতে। এ এস এম কামাল উদ্দিন বললেন, ‘আমি গত বছর এসে আপনাদের বলেছিলাম, বাঘ এখন নড়ছে। দেখবেন এক সময় বাঘ দৌঁড়াবে। আজ কিন্তু বাঘ দৌড়াচ্ছে।’

সেই থেকে প্রতি বছর বাঘা যতীনের জন্মভিটায় তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের একজন মানুষ বাঘা যতীনের আলোটা ছড়িয়ে দিলেন, যে আলোটা ছড়াতে পারেনি তার গ্রামের কেউ, এমনকি গোটা কুষ্টিয়ার কোন বিশিষ্টজন। 
এখন বাঘের দৌড়ের গতি বেড়েছে। মন্ত্রী এমপি কতোজনই তো এখন সেই দৌঁড় দেখতে কয়া গ্রামে ছুটে যান।
  
লেখক: ড. রকিবুল হাসান, কবি-কথাশিল্পী-গবেষক ও বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ

এমএস/


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি