ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন দাবিতে ভিডিও প্রচার, যা জানাল রিউমর স্ক্যানার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৬, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৯:৩৭, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু-মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন এমন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার।

আলোচিত ভিডিওতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন। 

সামাজিক ভিডিও মাধ্যম টিকটকে প্রচারিত 'ওবায়দুল কাদের মারা গেছে' শীর্ষক ওই ভিডিওটি প্রায় ৮ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ৭ হাজারের অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটিতে ১০১টি মন্তব্য করা হয়েছে।

বিষয়টি সত্য নয় বলে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার।

তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওবায়দুল কাদের মারা যাননি বরং ২০২১ সালে তার অসুস্থতার ঘটনার পুরোনো একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতাসহ বুকে ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতু-মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

আলোচিত ভিডিওতে মূল প্রতিবেদনের অংশের সাথে “মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮২ বছর’’ শীর্ষক অংশটুকু সম্পাদনার মাধ্যমে বসানো হয়েছে। মূল প্রতিবেদনে কোথাও তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।

প্রসঙ্গ, পূর্বেও ইন্টারনেটে ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে সে সময়ে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু-মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি