ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

ওয়েবসাইট বন্ধ করে উইকিপিডিয়ার প্রতিবাদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৯, ৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫৩, ৫ জুলাই ২০১৮

প্রস্তাবিত ইইউ কপিরাইট আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতালিতে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উইকিপিডিয়া৷ তাদের অভিযোগ, এই আইন ‘ইন্টারনেটের স্বাধীনতাকে হুমকিতে ফেলবে।

উইকিপিডিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতালিয়ান ভার্সনটি দুই দিনের জন্য বন্ধ থাকবে৷ ইন্টারনেটে তথ্যের লাইসেন্সের ব্যাপারে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করার চিন্তাভাবনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সমালোচকরা বলছেন, এতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুলিশেক কাছে আরো বেশি জবাবদিহি করতে হবে৷

বন্ধ করে দেয়া ওয়েবসাইটে এখন লেখা রয়েছে, ‘হুমকিতে ইন্টারনেটের স্বাধীনতা`৷ প্রচলিত শাসনব্যবস্থাবিরোধী ফাইভ স্টার মুভমেন্টের নেতা এবং দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী লুইজি ডি মাইও জানিয়েছেন, এই প্রতিবাদে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷

উইতিপিডিয়া ইতালির মুখপাত্র মাউরিৎসিও কোডোনিও সরকারের এ সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ইতালির সংবাদ সংস্থা এএনএসএকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করি, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দলটির যে প্রতিনিধিরা আছেন, তাঁরাও মাইওর সাথে একমত৷`` ৫ জুলাই ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে৷

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অবশ্য বলছে, এনসাইক্লোপিডিয়া ক্যাটাগরিতে পড়ায় এই আইনে উইকিপিডিয়া অন্তর্ভূক্ত হবে না৷ কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান এই আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাঁদের সমর্থনেই এই প্রতিবাদ৷ কোডোনিও বলছেন, উইকিপিডিয়া ‘‘শুধু নিজেদের বাঁচাতে নয়, বরং মুক্ত ইন্টারনেটের পক্ষে`` লড়াই করছে৷এক প্রতিবাদলিপিতে উইকিপিডিয়া ছাড়াও ৭০ জন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি, ১৬৯ জন শিক্ষাবিদ এবং ১৪৫ জন মানবাধিকারকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীও প্রস্তাবিত আইনের নিন্দা জানিয়েছেন৷

‘সাংবাদিকতা রক্ষা পাবে`

উইকিপিডিয়ার ঠিক বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন সংবাদপত্রের প্রকাশকরা৷ ইউরোপিয়ান নিউজপেপার পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্লো পেরোনে উলটো দুষছেন উইকিপিডিয়াকেই৷ তিনি বলছেন প্রতিষ্ঠানটি তথ্য চুরি এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না৷

তিনি বলছেন, ‘‘উইকিপিডিয়ার শুধু কপিরাইট নিয়ে প্রশ্ন নয়, বরং তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিষয়ে আরো বড় বিতর্ক তৈরি করতে চাচ্ছে৷ গণমাধ্যমের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তাদেরকে হুমকিতে ফেলে দিচ্ছে৷ তাদের এ অবস্থান শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, বরং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মতো সংস্থাকে প্রভাবিত করতে চাওয়ার অপচেষ্টা৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি