ভিডিও দেখুন
কণ্ঠযোদ্ধাদের গানে উদ্দীপ্ত হয়েছে মুক্তিসেনারা
প্রকাশিত : ১২:৫৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান প্রেরণা যুগিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। নয় মাসে কন্ঠযোদ্ধাদের গানে উদ্দীপ্ত হয়েছে মুক্তিসেনারা। একের পর এক হামলায় নাস্তানাবুদ হয়েছে হানাদাররা। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই নয়, গণজাগরণের গণসঙ্গীত উদ্দীপ্ত করেছে পুরো জাতিকে। রণাঙ্গণের যোদ্ধাদের কাছে স্বাধীন বাংলা বেতারের গান বেজে উঠেছে সংকেত হিসেবেও। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে বিজয়ের পথেই হেঁটেছে বীর বাঙালি।
শব্দ, কথা, সুরের ইন্দ্রজালে দেশমাতৃকার বন্দনা। সময়টা ১৯৭১। স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির মনে তো বটেই, দেশের প্রতিটি কোণে ধ্বণিত স্বাধীন বাংলা বেতারের গান। যে গান বুনেছে স্বাধীনতার স্বপ্ন বীজ।
‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে...’
স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশ, মাটি ও মাকে নিয়ে কণ্ঠযোদ্ধাদের লড়াই। দেশাত্মবোধক এসব গান উদ্দীপ্ত করে বাঙালির চেতনাকে, সাহস যোগায় রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের।
‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি...’
নিমর্ম অত্যাচার নির্যাতনেও স্বাধীন হওয়ার শপথবাক্যে অটুট থাকার বিশ্বাসে আত্মপ্রত্যয়ী বাংলার মানুষ।
‘মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি...’
এরকম অসংখ্য গান দেখিয়েছে মুক্তির দিশা। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সংকেত হিসেবেও বাজানো হত স্বাধীন বাংলা বেতারের গান।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা তিমির নন্দী বলেন, আমাদের গানগুলো গেরিলা যুদ্ধে সংকেত হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। আমাদের কোন স্লোগান বা আমাদের কোন গান গেছে কিন্তু গেরিলা যুদ্ধের সিগন্যাল হিসেবে। যে এই গানটি বাজলে অমুক ব্রিজটি উড়িয়ে দিতে হবে, ওই বোর্ডটি ডুবিয়ে দিতে হবে- এরকম নানান ধরনের সাংকেতিক কিছু গান ছিল।
মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ করে সব প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে বিজয়ের গান গেয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পীরা।
তিমির নন্দী আরও বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যে সমস্ত নতুন গানগুলো হয়েছিল, আমরা যেগুলো করেছিলাম তার প্রত্যেকটি কিন্তু সেই সময়ে অস্ত্রের মতো ধ্বনিত হয়েছে। এই গানগুলো যে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জিবিত করেছে তা নয়, পুরো বাঙালি জাতিকেই উজ্জিবিত করতো।
বিজয়ের প্রতিটি গান পৃথিবীর ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা বলেন, একটা বেতার যন্ত্র যে এভাবে মানুষকে উজ্জিবিত করতে পারে তার উদাহরণ বাংলাদেশেই প্রথম।
এএইচ/এসএ/