কবি আল মাহমুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ১২:১৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
‘সোনালি কাবিন খ্যাত’ কবি আল মাহমুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গতবছরের আজকের এইদিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দেন।
সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান এ কবি ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, আত্মজীবনীসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।
বরেণ্য এই কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘সোনালী কাবিন’, ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’, ‘একচক্ষু হরিণ’, ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’, ‘আমি দূরগামী’, ‘দ্বিতীয় ভাঙন’, ‘উড়ালকাব্য’ ইত্যাদি। ‘কাবিলের বোন’, ‘উপমহাদেশ’, ‘ডাহুকি’, ‘আগুনের মেয়ে’, ‘চতুরঙ্গ’ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ‘পানকৌড়ির রক্ত’সহ বেশকিছু গল্পগ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ তার আত্মজীবনী গ্রন্থ।
সৃজনশীল সাহিত্য রচনার জন্য অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আল মাহমুদ। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, কলকাতার ভানু সিংহ সম্মাননা উল্লেখযোগ্য।
কবির প্রয়াণ দিবসে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও তার জন্মভিটায় পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কবির জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর কাঁটাবনের কবিতা ক্যাফেতে (২৩৪/সি নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাটাবন সিগন্যাল, ঢাকা) শনিবার বিকাল ৫টায় ‘আল মাহমুদ স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কবির পাঠক, ভক্ত ও অনুরাগীরা উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণানুষ্ঠান। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর নূরুল আমিন।
অন্যদিকে, কবির জন্মভিটা ব্রাক্ষণবাড়িয়া মৌড়াইলে সকালের দিকে স্মরণানুষ্ঠান ছাড়াও কবির কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। এছাড়া, আল মাহমুদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা ছাড়াও কবির প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহৎ পরিসরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
কবি আল মাহমুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার রচিত মহাকাব্য ‘এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না’ নামের অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করেছে সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা (বইমেলা, স্টল নং ৬১৮)।
এসএ/