কমছে না নেপাল-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২২
পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি যেন কমছেই না। এ অবস্থায় ট্রানজিট ভোগান্তি কমাতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো দরকার- এমনটা বলছেন বিশ্লেষকেরা। এছাড়া, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সই করারও তাগিদ তাদের।
তিনদিকে ভারত এবং একদিকে চীন ঘেরা ল্যান্ড লক্ড দেশ নেপাল। ভৌগলিক অবস্থান বাস্তবতায় আমদানী-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেপালের ভারতনির্ভরতা বহু দিনের।
বিরোধটা বাঁধে ২০১৫ সালে। নেপালে সংবিধান সংশোধন নিয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে বসে ভারত।
অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্বায়নের পথে হাঁটে নেপাল। সাথে পায় আরেক প্রতিবেশী চীনকে। এখন চাহিদার ৯০ ভাগ পণ্য চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে আমদানী করে দেশটি।
কিন্তু নিকট প্রতিবেশী হিসেবে সেই বাণিজ্যে কতটা সুবিধা করতে পারছে বাংলাদেশ? সড়ক পথে ট্রানজিটে প্রধান নির্ভরশীলতা ওই ভারতই।
শিলিগুঁড়ি করিডোরের স্বল্পদূরত্বে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি-কাঁকরভিটা রুট। ভারতের চিকেন-নিক খ্যাত এ অংশ দিয়ে অনায়াসেই পণ্য আনা-নেয়া করা যায়। তবে ভারতের অনুমতি আর মান সনদ নিতে অপচয় হয় সময় ও অর্থের।
জলবিদ্যুতের বড় উৎস দেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের দীর্ঘদিনের। কিন্তু, চুক্তি না থাকায় ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না দুই দেশ। বাধ্য হয়েই তৃতীয়পক্ষ ভারতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনা-বেচা হবে বিদ্যুৎ।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিমালয়ের দেশ নেপাল, পর্যটকের সমাগম যেখানে বারোমাস জুড়েই থাকে। অন্যদিকে, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবনসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র আছে বাংলাদেশের। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পর্যটন ব্যবসা এগুতে পারে সমানে-সমানে, এমনটা মনে করেন এই বিশ্লেষক।
এরইমধ্যে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর আর সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং রেল যোগাযোগ স্থাপনে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দুই দেশ। তবে এর সব কিছুই সফল হবে ত্রিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতায়।
এএইচ/