ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করোনা বিজয়ে ভ্যাক্সিন হিরো বাংলাদেশ

মুনতাকিম আশরাফ

প্রকাশিত : ১৩:০৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৪:২৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি নভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং ভাইরাসটির প্রকোপ থেকে মানুষকে মুক্ত করতে দীর্ঘ এক বছর ধরে লড়াই করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত ও শক্ত অর্থনীতির দেশও আজ নাগরিকদের জীবন ও অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে দিশেহারা হয়ে মোকাবেলার পথ খুঁজছে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ঠেকাতে পারছে না মৃত্যুর মিছিল। ইতালি, স্পেন, কানাডাসহ গোটা ইউরোপ মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে টিকে থাকতে। বিভিন্ন প্রকারের ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও প্রয়োগের পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তবে করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে প্রথম থেকেই সম্মুখসারিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। সক্ষমতার সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মহামারীতে মৃত্যু, শোক আর সঙ্কটের একটি বছর পেরিয়ে এসে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিজয়ের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন এখনও করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করতেই পারেনি, জাতির জনকের কন্যা এদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম। 

গত ২৭ জানুয়ারি কর্মিটোলা হাসপতালের স্বাস্থ্যকর্মী রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শুরু করেছেন টিকা প্রদান কার্যক্রম। বাংলাদেশের জন্য এ এক ঐতিহাসিক দিন। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতা ও দূরদর্শী প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের কারণেই এ ঐতিহাসিক দিনটি প্রত্যক্ষ করেছে গোটা বাঙালি জাতি।

করোনা ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধনের দিন সব মিলিয়ে মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ঠিক তার পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে দেওয়া হয় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা। এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সুরক্ষা পাবে মানুষ। বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা, যা ‘নিরাপদ এবং অধিকাংশের ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে’ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে সবাইকে। 

শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ‘তিন কোটি ডোজ’ টিকা কিনছে, তার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এরইমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। এছাড়া সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে বাকি আড়াই কোটি ডোজ দেশে আসার কথা রয়েছে। ভারত থেকে পাওয়া উপহার এবং বাংলাদেশ সরকারের ক্রয়কৃত তিন কোটি ডোজ নিয়ে করোনা বিজয়ের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। 

যে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এদেশের গণমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার শেষ ভরসাস্থল, বাঙালির জীবন ও জীবিকার রূপকার, মাদার অব হিউমিনিটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। কেবল টিকা প্রদানই নয়, দেশব্যাপী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তিনি সোচ্চার হয়েছেন, এর বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার। 

চীনের উহান প্রদেশ থেকে সূত্রপাত ঘটা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের জন্যও ছিল সম্পূর্ণ নতুন, অচেনা এক অভিজ্ঞতা, এক অদৃশ্য শত্রুর সাথে লড়াই। পরিস্থিতি অনুধাবনে কিছুটা সময় ব্যয়িত হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই যথাসম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে করোনা মোকাবেলায় সচেষ্ট হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন করোনা মোকাবেলায় মুষড়ে পড়ছে রীতিমত, বাংলাদেশ সেখানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি। বিশ্বের বাঘা বাঘা সব দেশের তুলনায় করোনায় আক্রান্তের হার এবং এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশে সবসময়ই ছিল কম। 

এ সবই সম্ভব হয়েছে যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। করোনা যুদ্ধে জেতার লক্ষে শুরু থেকেই এ লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। করোনা মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসে। কানাডিয়ান লেখক অভিভাহ ভিটেনবার্গ-কক্স ফোর্বসের উক্ত নিবন্ধে নারী নেতৃত্বাধীন ৮টি দেশের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেছেন। 

নিবন্ধে লেখা হয়েছে- শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ১৬ কোটি ১০ লাখের মতো মানুষের দেশ বাংলাদেশ সমস্যা-সংকটের সঙ্গে অপরিচিত নয়। তিনি এই সংকট মোকাবেলায় দ্রুত সাড়া দিয়েছেন, যাকে ‘প্রশংসনীয়’ বলেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাংলাদেশে সরবরাহ করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা, বর্ষিয়ান ব্যক্তিত্ব সালমান এফ রহমান এমপির মালিকানাধীন দেশের প্রথম সারির ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। 

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আমদানির জন্য ৫ নভেম্বর ২০২০ এ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের টিকা আমদানি ও সরবরাহের পুরো দায়িত্ব পালন করবে বেক্সিমকো। সরকারের তিন কোটি ডোজ কোভিড-১৯ এর টিকার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্য আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা বাজারে আনবে তারা। প্রথম পর্যায়েই এই টিকা দেশে পৌঁছাবে এবং তা বেসরকারি ফ্রন্টলাইনার এবং সাধারণ জনগণ উভয়কেই দেওয়া হবে। তাদের আমদানিকৃত প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার ২ শত টাকা। 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রমে বেক্সিমকো এবং এর কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনা মোকাবেলার লড়াইয়ে যথেষ্ট দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান।

করোনা প্রতিরোধে তিনটি ফেইজে মোট পাঁচ ধাপে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর মধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে থাকা কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে এক কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৩ জনকে প্রথম পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। দেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির ওপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। 

আর সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনাভাইরাসের টিকা পেতে আগ্রহী সবাইকেই নিবন্ধন করতে হবে। সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধনের কাজটি সারতে হবে। 

বাংলাদেশের মতো ঘন বসতিপূর্ণ একটি দেশের জন্য প্রথমভাগেই করোনা টিকা প্রদান করার সক্ষমতা অর্জন নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বলেছেন সেই কথা। তিনি বলেন, “আমি বলব এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। কারণ বিশ্বের অনেক দেশ এখনও শুরু করতে পারেনি। সেখানে আমাদের মতো একটি দেশ, ঘন বসতিপূর্ণ দেশ সীমিত অর্থনৈতিক শক্তি নিয়েই আমরা কিন্তু মানুষের কল্যাণে যে আমরা কাজ করি সেটাই আজকে প্রমাণ হল।” 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “টিকা আসা শুরু হয়েছে, আরও আসবে। এরপর সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু হবে, যাতে দেশের মানুষ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পায়।” 

করোনা বিজয়ের এ লড়াইয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরুর জন্য ৪২ হাজার কর্মী মাঠে কাজ করছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সার্বিক পরিস্থিতির নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে। যে কোনও টিকা প্রথম প্রদান করতে গেলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে বাংলাদেশ যে টিকা প্রদান করছে নাগরিকদেরকে, বিভিন্ন পরীক্ষায় তার তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারপরও সম্ভাব্য ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেওয়ার পর প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন চিকিৎসকেরা। এভাবে আগামী জুনের মধ্যে দেশের সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার হবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কারও কারও মধ্যে ‘নেতিবাচক’ ধারণা রয়েছে। এই ধারণাকে পুঁজি করে একটি মহল নানা প্রকার অপপ্রচারে রত হয়েছেন, যা কোনওক্রমেই কাম্য নয়। এখন মতবিরোধ তৈরির সময় নয়। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে টিকা গ্রহণের কার্যকারিতা। সরকার যে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তার ওপর সকলকে আস্থা রাখতে হবে। 

সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকা প্রায় শতভাগ নিরাপদ। টিকা নিয়ে কিছু মানুষের মনে সৃষ্ট যে নেতিবাচক ধারণা, তা দূর করতেই পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকেও টিকা দেওয়া হবে প্রথম ধাপেই। যাতে অন্যরা সহজেই বুঝতে পারেন, এ টিকায় কোনও ঝুঁকি নেই। করোনা টিকা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন একটি নজিরও বিশ্বব্যাপী নেই। টিকা নেওয়ার পর যাদের অবস্থার অবনতি হয়েছে, তারা আগে থেকেই নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। 

সরকার বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে যথেষ্ট যাচাই বাছাই করেই বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে, এমন টিকা ক্রয় করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনও অবকাশ নেই। বিশ্বের অনেক বড় বড় অর্থনীতির দেশ এখনও টিকা হাতে না পেলেও শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে টিকা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে।

শুধু করোনা ভাইরাস নয়, সব ধরনের রোগ ও সংক্রমণের বিপক্ষে সবসময়ই সোচ্চার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন রোগের টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স খ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন এন্ড ইমুনাইজেশন-জিএভিআই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ২০১৯ সালে। ভ্যাক্সিনেশনের জন্য বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রম আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সেই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকারের হাত ধরে এ কার্যক্রমেও সাফল্য আসবে। অল্প দিনের ভেতরই বিভিন্ন ধাপে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই করোনা বিজয়ের লড়াইয়ে জয়ী হবে বাংলাদেশ।

লেখক- সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই। 

এনএস/


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি