করোনা রোগীদের জন্য সুখবর!
প্রকাশিত : ১৪:৪৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৪:৫৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
করোনায় চীনে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোনভাবেই দমাতে পারছিল না প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে। তাই নতুন এক পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করেন চীনের ডাক্তাররা। এই পদ্ধতির চিকিৎসায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অবিশ্বাস্য সাফল্য পেয়েছেন তারা।
জানা গেছে, সুস্থ মানুষের শরীর থেকে ব্লাড প্লাজমা নিয়ে তা করোনা আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হচ্ছে। ব্লাড প্লাজমা দেওয়ার পর গুরুতর রোগীও উঠে দাঁড়াতে পারছেন। ব্লাড প্লাজমা প্রথম একজনের শরীর থেকে নেওয়া হয় ১ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি উহানের জিয়াংসির একটি হাসপাতালে এক রোগীর শরীরে তা দেওয়া হয়।
এরপর কিছুটা ইতিবাচক ফল পেয়ে ১০ জন রোগীর শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় থাকা সেই ১০ জন রোগী বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ। চীনের ন্যাশন্যাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এই পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
অবশ্য শুরুতে যে ২০ জন ব্লাড প্লাজমা দিয়েছেন, তাদের সবাই ডাক্তার এবং নার্স। এই ২০ জনই ভাইরাসে আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে প্লাজমা দিয়েছেন। তাদের পথ ধরে আরো ১৪ জন প্লাজমা দেন; তারাও করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্লাজমা দিয়েছেন।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্লাড প্লাজমা দেওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ব্লাড প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসার জেরে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যাওয়ার মতো সুসংবাদও এসেছে।
তবে প্লাজমা দেওয়ার ফলে কিছুটা দুর্বল হয়ে যান দাতা ব্যক্তি। যদিও এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে যে কেউই প্লাজমা দিতে পারবেন না। তাদের অবশ্যই করোনা ভাইরাসমুক্ত হতে হবে। যখন লোহিত, শ্বেত ও অনুচক্রিকা বর্তমান থাকবে, কেবল তখনই প্লাজমা নিয়ে ব্লাড প্লাটিলেট আবারো দাতার শরীরে ফিরিয়ে দিতে হয়। প্লাজমা দেওয়ার পর সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ লাগে স্বাভাবিক হতে।
এতোদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও খিঁচুনির উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করছিলেন ডাক্তাররা। এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী ভাইরাসটির কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র: দ্য স্টার অনলাইন
এএইচ/