কর্পোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব ডিসিসিআইয়ের
প্রকাশিত : ২১:০৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেছেন, ‘এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশ প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে।’
‘‘এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগি হতে হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেগোশিয়েশনের দক্ষতা বাড়ানো জরুরি। একইসাথে তিনি কর্পোরেট করহার কমানোর আহবান জানান।’’
তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিদ্যমান করকাঠামো যুগোপযোগীকরণ ও ক্রস-বর্ডার বাণিজ্য সম্প্রসারণে নীতি সহায়তা প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের কার্যালয়ে ডিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ২০২২ সালে ডিসিসিআইয়ের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই,বেসরকারি বিনিয়োগ ও এফডিআই, রপ্তানি বহুমুখীকরণ,সমুদ্র অর্থনীতি, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল এনগেইজমেন্ট, কর ব্যবস্থাপনা এবং এলডিসি উত্তোরণ বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করবে।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোভিড মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষ করে সিএমএসএমইখাতের উদ্যোক্তাদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজ করার প্রয়োজন। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য মানবম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ব্যাপারে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কর্পোরেট করের বিষয়ে তিনি বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পূর্বে বাংলাদেশের কর্পোরেট করহার আঞ্চলিক দেশসমূহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা প্রয়োজন। এলক্ষ্যে তিনি বিদ্যমান কর্পোরেট কর ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ক্রমান্বয়ে হ্রাসের আহ্বান জানান।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পর আমাদের রপ্তানিমুখী পণ্যের উপর শুল্ক হার বর্তমানের চেয়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে এখন থেকে আমাদের পণ্যের বহুমুখীকরনের সাথে সাথে বাজার সম্প্রসারণের উপর মনোযোগি হতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের প্রতি আমাদের আরও মনোযোগী হওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
এছাড়া তিনি অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
সমুদ্র অর্থনীতিকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে এখাতে অবদান রয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং এ সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি কার্যকর রূপকল্প প্রণয়নের দাবী জানান।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারী থাকা সত্বেও ২০২১ সালে আমাদের বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৪৩ শতাংশ এবং পণ্য রপ্তানি, রেমিট্যান্স এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে বেশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
ডিসিসিআই উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসি
আরও পড়ুন