কাকরাইলে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা
প্রকাশিত : ২১:২১, ১ নভেম্বর ২০১৭
রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বিপরীত পাশের গলির ৭৯/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চমতলায় মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, করিম টাওয়ারের মালিক আবদুল করিমের স্ত্রী ও তার ছোট ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, `বাড়িটির বেডরুমে মায়ের গলাকাটা মরদেহ এবং সিঁড়িতে সন্তানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।`
মায়ের নাম শামসুন্নাহার ও ছেলে নাম শাওন। মা গৃহিণী। আর ছেলে সম্প্রতি ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দিয়েছে বলে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধারের সময় তারা দেখেছে মায়ের গলায় ছুরির আঘাত ছিল আর ছেলের শরীর ছিল রক্তাক্ত।
বাড়ির মালিক ও গৃহকর্তা আবদুল করিম তখন বাসার বাইরে ছিলেন। তাঁর শ্যামপুরে ব্যবসা আছে।
বাসার কাজের মেয়ে রাশিদা বলেন, সন্ধ্যায় তিনি ফ্ল্যাটে ঢোকেন। এ সময় গৃহকর্তী শামসুন্নাহার দরজা খুলে দেন। ঘটনার সময় তিনি রান্নাঘরে ছিলেন। কেউ একজন এসে বাইরে থেকে রান্নাঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর তিনি ‘ম্যাডাম’ শামসুন্নাহারের বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনতে পান। কাজের মেয়ে বলেন, বাসার দারোয়ান এসে রান্নাঘরের দরজা খুলে দিলে তিনি সেখান থেকে বের হন।
বাসার দারোয়ান বলেন, সিঁড়ি দিয়ে এক ব্যক্তি নিচে নামার সময় তাঁকে বলেছেন, গিয়ে দেখেন ৫ তলায় কোনো ঝামেলা হচ্ছে। তিনি ৫ তলায় গিয়ে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজায় ও ভেতরে দুজনের লাশ পড়ে আছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনা সম্পর্কে জানতে বাসার দারোয়ান ও কাজের মেয়েকে থানায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশের আশা, শিগগিরই এই হত্যার পেছনে কারা তা উদ্ঘাটিত হবে।
ঘটনাস্থলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, নিহত দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শাওনের মাথার কাছে একটি ছুরি পড়ে ছিল বলে জানান তিনি।
পাশের ভবনের এক বাসিন্দা জানান, নিহত যুবকের নাম শাওন। তার বড় দুই ভাই বিদেশে থাকেন।
কেআই/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন