কাজ দিয়ে শিশুদের শাসন ঠিক নয়
প্রকাশিত : ১৮:১৭, ৩১ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৫৫, ১ জুন ২০১৭
সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে শাস্তি হিসেবে ঘরের কোনো কাজ করানো মোটেই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না। কারণ, সন্তানকে মার দেওয়ার বিকল্প হিসেবে কাজ করানো হলে তা অনেক সময় তা বিরূপ প্রভাব ফেলে। এতে শিশু অপমানিত ও একাকিত্ব অনুভব করতে পারে যা তার জন্য ক্ষতিকারক।
শাস্তি হিসেবে শিশুর গায়ে হাত তোলার পরিবর্তে কাজ চাপিয়ে দেওয়াকে বলা হয় `টাইম আউট`।
কাজ করানো এক ধরনের শাস্তি: সন্তানের গায়ে হাত তোলার চেয়ে কোনো কাজ করানোর মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া ভালো। তবে মনে রাখাতে হবে এটি এক ধরনের অপমানমূলক শাস্তি। সন্তান যতদিন বুঝতে না পারবে যে এটি এক ধরনের শাস্তি ততদিন পর্যন্ত এটা কোনো ইতিবাচক প্রভাব রাখবে না।
সন্তানের আবেগ নিয়ন্ত্রণ: কোনো কাজের শাস্তি হিসেবে সন্তানকে ঘর থাকে বের করে দিলে বা দূরে সরিয়ে দিলে তার মনে হতে পারে, সে যখন কেবল ভালো থাকে তখন আপনি তাকে ভালোবাসেন। ফলে আপনি যা চান সেভাবে কাজ করবে। আর যদি না করে তবে সন্তান নিজেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখবে।
সমস্যা সমাধান সম্পর্কে ধারণা: সন্তানকে শাস্তি দিলে হয়ত সে বুঝতে পারবে সে ভুল করেছে কিন্তু তাকে দূরে সরিয়ে দিলে সে বুঝতে পারবে না আসলে তার কি করণীয় । সন্তানকে সুশৃঙ্খল হওয়ার শিক্ষা দিলে সে তার ভুল বুঝতে পারবে এবং যেটা করা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করবে।
লজ্জা হিসেবে কাজ করে: `টাইম আউট` বা কাজ করানোর মাধ্যমে সন্তানকে শাস্তি দিলে সে নিজের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে। নিজেকে খারাপ ভাবতে শুরু করে এবং তাদের শাস্তি দেওয়া ও একা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এটা তাদের লজ্জা দেওয়া বা অসম্মান করার সমান। ফলে তারা নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করে না বরং মন খারাপ করে থাকে। তাদের মনে এমন ধারণার সৃষ্টি হয় যে `কেউ তাদেরকে বুঝতে পারে না`।
`টাইম আউট` দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা নয়: সন্তানকে সুশৃঙ্খল করার জন্য `টাইম আউট` কোনো দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা নয়। সন্তান যখন বড় হবে, তখন যদি আপনি আপনার সন্তানের আচরণ পরিবতর্ন করার জন্য এইধরনের পদক্ষেপ অনুসরণ করেন তবে তা সন্তানের বিরক্তির উদ্রেক
করবে এবং আপনার সন্তান অবাধ্য হয়ে যাবে।