কাপড় ধোয়ার ঝামেলা ছাড়াই স্বাচ্ছন্দ্যে কাটুক রমজান
প্রকাশিত : ১৯:৪০, ২৯ মার্চ ২০২৩
রমজান মাস আত্মশুদ্ধির মাস। পবিত্র এ মাসে আধ্যাত্মিকতা ও আত্মিক উন্নতির দিকে মনোযোগ দেয়া হয়। মুসলিমদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে রোজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যক্তিগত জীবনে রোজাদার ব্যক্তি সিয়াম সাধনা করেন ও পরিশুদ্ধ জীবনযাপন করেন। পাশাপাশি, রোজার মাসে সাধারণত মানুষ পরিবারের সদস্যদের সাথে তুলনামূলক বেশি সময় কাটান– একসাথে সেহরি খান ও ইফতার করেন।
তবে, এ মাসে রোজা রেখে বাকি সব কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে গিয়ে পেশাজীবী ও চাকরিজীবীদের অনেকক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হয়। ইফতার তৈরি করা কিংবা তৈরিতে সহায়তা করা, গৃহস্থালি কাজ যেমন ঘর পরিষ্কার, কাপড় ধোয়া এবং বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানো – একসাথে এতো কিছু করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় ঘরের কাজে চাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে ওয়াশিং মেশিনের মতো হোম অ্যাপ্লায়েন্স। এমনিতেও চাকরিজীবীদের জন্য কাপড় ধোয়ার প্রধান ভরসার নাম ওয়াশিং মেশিন, রোজার মাসে এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। এমনিতে কাপড় ধোয়া বেশ সময়সাপেক্ষ, পরিশ্রমের কাজ এবং এতে পানিও খরচ হয় অনেক বেশি। এসব ক্ষেত্রে নানা সুবিধা বয়ে নিয়ে আসে ওয়াশিং মেশিন।
আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলোতে অত্যাধুনিক সব ফিচার রয়েছে, যা মানুষের লাইফস্টাইলের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এসব ওয়াশিং মেশিনে পানির ব্যবহার অনেক কম হয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এজন্য এসব ওয়াশিং মেশিন যেমন ব্যয় সাশ্রয়ী, তেমনি পরিবেশ-বান্ধব। ওয়াশিং মেশিনে সকল ধরনের কাপড়ই ধোয়া যায়। এক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীকে শুধুমাত্র ফেব্রিকের ধরন অনুযায়ী কাপড় আলাদা করে দিতে হবে, পরিমাণ মতো ডিটারজেন্ট দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী ওয়াশিং
মেশিনের ফাংশন নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও, ব্যস্ততার সময়ে কুইক ওয়াশের মাধ্যমে কাপড় ধোয়া যাবে। কাপড় পরিষ্কারের সময় ব্যবহারকারীকে মেশিনের পাশেও থাকতে হবে না, শুধুমাত্র সঠিক ফাংশন নির্বাচন করে দিলেই হবে।
বর্তমানে, ওয়াশিং মেশিনের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়, যা ঘরের খুবই অল্প জায়গা নেয়। ফলে, যারা ছোট বাসায় ওয়াশিং মেশিন কোথায় রাখবেন তা নিয়ে চিন্তিত, তাদের এ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। ফ্রন্ট-লোডিং ওয়াশিং মেশিন কাউন্টারের নিচেই ফিট করা যাবে; আর যাদের বেন্ড করতে ভালো লাগে না, তাদের কাছে টপ-লোডার ওয়াশিং মেশিন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক মনে হবে।
অত্যাধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো বেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং আগের সংস্করণের তুলনায় অনেক ভালো পারফর্ম করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, স্যামসাং-এর ওয়াশিং মেশিনগুলি এ আই প্রযুক্তির সাথে আসে, যেখানে কাপড়ের ধরন এবং ধোয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে কাপড় ধোয়া যাবে এবং ফাংশনগুলি মোবাইল ফোন থেকে পরিচালনা করা যেতে পারে। এই মেশিনগুলি ইকো বাবলের মতো অগ্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেখানে দ্রুত ফ্যাব্রিক ভেদ করা যায় এবং ময়লা অপসারণ
করা হয়।মেশিনে রয়েছে ইকো ড্রাম ক্লিন টেকনোলজি, যা ওয়াশারকে কোনো ক্যামিকেল ব্যবহার ছাড়াই পরিষ্কার রাখবে।
কেআই//
আরও পড়ুন