কারাবালার আত্মত্যাগের শিক্ষা সত্য ন্যায়ের পথ দেখাবে
প্রকাশিত : ১৯:০৫, ১১ আগস্ট ২০২২
কুতুববাগ দরবার শরিফের পীর ও মোরশেদ হযরত খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজান বলেছেন, কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়ার আগেই ইমাম হোসেন (রা.) এলমে লাদুন্নার (অলৌকিক জ্ঞান) শক্তিতেই বুঝতে পেরেছিলেন তাকে সঙ্গী-সাথীসহ শাহাদাত বরণ করতে হবে। তাই নিজ পুত্র হজরত জয়নাল আবেদীনকে ঘুম বা তন্দ্রা থেকে ডেকে তুলে নিজের সিনার সঙ্গে সিনায় সজোরে চাপ দিয়ে কিছু সময় ধরে রাখেন।
তিনি বলেন, হজরত ইমাম হোসেন (রা.) তার নানাজান হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর কাছ থেকে প্রাপ্ত জাহের বাতেন এলেম এভাবেই হজরত জয়নাল আবেদীনের কাছে গচ্ছিত রাখেন, যা আউলিয়া কেরামদের সিনা হয়ে কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। রাসুল (সা.) এর আহলে বায়াতকে ভালোবাসা এবং সত্য-ন্যায়ের প্রতি অবিচল থাকার শিক্ষাই পবিত্র আশুরার মধ্য দিয়ে আমরা গ্রহণ করতে পারি।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেট (৩৪ ইন্দিরা রোড) কুতুববাগ দরবার শরিফের সদর দপ্তরে পবিত্র আশুরার ধর্মীয় জলসায় সারাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার জাকের মুরিদ-আশেকানদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খাজাবাবা হজরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি কুতুববাগী কেবলাজান আরো বলেন, কারবালায় আহলে বয়াতের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ইসলামের সত্য ও ন্যায়ের পথ চিহ্নিত হয়েছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু দুরাচার ইয়াজিদ মুসলমান হয়েও ছিলেন অনৈতিকতা আর অশান্তির ধারক বাহক। তাই নির্মমভাবে আহলে বায়াতদের হত্যা করেছিলেন।
পরে বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের শান্তি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন খাজাবাবা কুতুববাগী।
এসি
আরও পড়ুন