ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কার্বন গ্রিনে বিষমুক্ত হবে শাক-সবজি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৪১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিষযুক্ত খাবারের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য। আর জনস্থাস্থ্যের এই ঝুঁকি কমাতে,বিষযুক্ত খাবারকে নিরাপদ করবে কার্বন গ্রিন। এটি এখন দেশের সুপার শপ, ফার্মেসী ও খুচরা দোকানে পাওয়া যাচেছ। আজ শুক্রবার রাজধানীর ডেইলী স্টার ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানায়, লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেড।

লাইফ অ্যান্ড হেলথের চেয়ারম্যান ডা. শক্তি পাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফলমূল ও শাকসবজিতে আর কীটনাশক ও ফরমালিনের ভয় নেই। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা নিয়ে এসেছি কার্বন গ্রিণ। যা ফলমূল ও শাকসবজির উপরিভাগে লেগে থাকা কীটনাশক ও ফরমালিনের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মুক্ত করে খাবার করবে নিরাপদ। যেখানে লবণ পানি, ভিনেগার কিংবা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ব্যবহারে ফলমূল ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কীটনাশক ও রাসায়নিক মুক্ত হয়। যা খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়।

১৮০ মিলিয়ন বাংলাদেশীর খাদ্য নিশ্চিতে উচ্চ ফলনের দরকার উল্লেখ করে ড. শক্তি বলেন, ‘বেশি ফলনের জন্য খাদ্য-শস্যে ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। তবে দিন দিন কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত ১০ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশের কৃষি-পণ্যে কীটনাশকের ব্যবহার ৩২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত কীটনাশকগুলোর মধ্যে অর্গানোফসফেট(প্যারাথিওন,ম্যাল্যাথিয়ন, ডায়াজিনন), কার্বামেট্স (এলডিকার্ব, কার্বোফুরান), পাইরিথ্রয়ড্স (এলাথ্রিন, রেসমেথ্রিন, প্যারমেথ্রিন, সাইফ্লথ্রিন) এবং অর্গানোক্লোরাইডস (ডিডিটি, এলড্রিন) বেশি ব্যবহার হয়। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, ফসল ভেদে কখনো কখনো সহনশীল মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ৩১ গুণ বেশি কীটনাশক এবং কীটনাশক জাতীয় পদার্থের অস্থিত্ব পেয়েছে ।’

ড. শক্তি বলেন, ‘কীটনাশক-ফরমালিনযুক্ত ফল ও শাকসবজি জনস্বাস্থের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর প্রভাবে ক্যান্সার, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, গর্ভপাত, এন্ডোমেট্রিওসিস, জন্মগত ত্রুটি, অটিজম, আলঝেইমার রোগ, পারকিনসন্স ডিজিজসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। অর্গানোফসফেটের কারণে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা হয়।কার্বামেট্স ও পাইরিথ্রয়ড্স শরীরের বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার হওয়ার কারণ। কীটনাশকের ব্যাপারে সামাজিক ও জনগনের স্বাস্থ্য সচেতনার অভাবে আমরা একটি রোগগ্রস্ত জাতিতে পরিনত হচ্ছি।

তাই লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিঃ- সামাজিক প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং যেসব সংস্থা স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারনা এবং রোগ প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চায়, বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ ও কম খরচে কীটনাশক এবং ফরমালিন দূষণের প্রতিকার হিসেবে নিয়ে এসেছি কার্বন গ্রিণ ।

কার্বন গ্রিনের কার্যকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘সোডিয়াম বাই কার্বনেট এবং অত্যন্ত সক্রিয় কার্বনের সঠিক অনুপাতের সংমিশ্রনে কার্বন গ্রিন তৈরি হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ‘এস.জি.এস’, ‘এন.আই.এফ’ এবং ‘ও.এম.আই.সি’ এর পরীক্ষাগারে কীটনাশক যুক্ত খাদ্যদ্রব্য ও সবজিতে নির্দিষ্ট মাত্রায় কার্বনগ্রিন প্রয়োগে খাদ্যদ্রব্য ৯৪ শাতংশ পর্যন্ত বিষমুক্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত কার্বন গ্রিন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-দ্বারা পরীক্ষিত এবং ‘বি.এস.টি.আই’ অনুমোদিত। ফলমূল ও শাকসবজিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ও ফরমালিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নিলাঞ্জন সেন।

 টিআর/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি