ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কাশ্মীরে হামলাকারীদের সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভারতের কাশ্মীরের পহেলগামে মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ নামক একটি সশস্ত্র সংগঠন এর পেছনে থাকতে পারে।

বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টিআরএফ পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইবা'র ছায়া সংগঠন হিসেবে পরিচিত।

ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত এলাকার মর্যাদা দিয়েছিল ৩৭০ ধারা। কিন্তু ২০১৯ সালে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার তা প্রত্যাহার করে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ওই ধারা বাতিলের পর থেকেই টিআরএফ অনলাইনে প্রোপাগান্ডা চালাতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সক্রিয় 'জঙ্গি' সংগঠনে রূপ নেয়।

ভারত সরকার ২০২৩ সালে এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

ভারত সরকারের টিআরএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ— টিআরএফ কাশ্মীরের তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে, অনলাইনে উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ায় এবং অস্ত্র চোরাচালানের সাথে জড়িত।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বলেন, “এটি সম্ভবত লস্কর-এর একটি শাখা, যারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেও ইঙ্গিত দিতে চায় যে তারা সক্রিয়। এ ধরনের সংগঠনগুলো যখন কোণঠাসা হয়, তখন তারা পৃষ্ঠপোষকদের কাছে তাদের সক্রিয়তা প্রমাণের জন্য হামলা চালায়।"

বেছে বেছে পুরুষদের ওপর গুলি

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীরা হামলা চালানোর সময় নারী-পুরুষদের আলাদা করে বেছে বেছে পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করছিল।

পর্যটক বাস থেকে নামার পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ভয়াবহ মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দিচ্ছিলেন। 

বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহতদের সংখ্যা অনেক, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পহেলগাম থেকে তিন মাইল দূরে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বৈসারণে এই হামলার ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন নারীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবর প্রকাশ করেছে। ওই নারীর স্বামীও মাথায় গুলি লেগে মারা যায়।

তিনি জানাচ্ছিলেন, "আক্রমণকারীরা পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছিল। তার স্বামীও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।''

হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা স্পষ্টতই পুরুষদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল এবং নারীদের ছেড়ে দিচ্ছিল। তৃণভূমির কাছের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে গুলি চালাতে শুরু করে তারা।

ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পল্লবী রায় নামে আরেক নারীকে চিহ্নিত করেছে। যার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে ছিলেন। তিনিও বলেছেন যে পুরুষদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

কাশ্মীর ছাড়ার চেষ্টা করছেন পর্যটকরা
পহেলগামে হামলার পর অনেক পর্যটকই এখন কাশ্মীর ছাড়ার চেষ্টা করছেন। শ্রীনগর বিমানবন্দরের ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, পহেলগাম হামলার পর দেশি পর্যটকরা কাশ্মীর ছাড়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন। অনেক গাড়ি এখন বিমানবন্দরের দিকে আসছে।

তবে বিবিসি সংবাদদাতা ইয়োগিতা লিমায়ি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন, তিনি মুম্বাই থেকে আসার সময় ফ্লাইটে অনেক দেশি পর্যটকদের দেখেছেন, যারা তাদের কাশ্মীরে ঘোরার পরিকল্পনা বাতিল করেননি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি