কিডনী রোগের লক্ষণ কী, প্রতিকার কিভাবে: ডা. শামীম আহমেদ (ভিডিও)

দেশে কিডনি রোগের বিস্তার হচ্ছে। প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। একটু সচেতন ও খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন আনলে কিডনী রোগ বাঁচা সম্ভব। এমনটিই জানালেন জাতীয় কিডনী ইনষ্টিটিউট এবং হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ।

সম্প্রতি তিনি রোগ-ব্যাধি, সুস্থতা নিয়ে একুশে টেলিভিশনের নিয়মিত সপ্তাহিক অনুষ্ঠান দ্য ডক্টরসে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেছেন অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। শ্রুতি লেখক একুশে টিভির অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।

একুশে টিভি অনলাইন: কিডনী রোগের লক্ষণ কি?

প্রফেসর ডা. শামীম আহমেদ: কিডনী রোগের লক্ষণ আলোচনার আগে আমি যেসব ব্যক্তির কিডনী রোগ আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি তা নিয়ে আলোচনা করবো। ডায়াবেটিস, শরীরে পানি জমে, বয়স বেশি এমন লোকজনের কিডনী রোগের ঝুঁকি বেশি। অনেকে আবার জন্মগতভাবে রোগ বহন করে চলে। এসব ব্যক্তির কিডনী রোগের ঝুঁকি থাকে। এমন রোগ থাকলে আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে কিডনী রোগে আক্রান্ত কিনা। অনেক সময় রোগনির্মূল করার জন্য ডাক্তররা যেসব ওষুধ দিয়ে থাকেন সেসব  ওষুধের কারণেও কিডনী রোগ দেখা দিতে পারে।

একুশে টিভি অনলাইন: কিডনী কি পরিমাণ বিকল হলে দৃশ্যমান লক্ষণ দেখা যায়?
ডা. শামীম আহমেদ: কিডনী রোগটা যদি আপনি আগে কিছু লক্ষণ দেখা যেমন- প্রস্রাব কমে যাওয়া। বয়স বেশি হলে প্রস্রাব আটকে যাওয়া। দেহে পানি জমা। বমি বমি ভাব হওয়া। খাবার খাওয়ার রুচি কমে যাওয়। ডায়াবেটিস দেখা দেওয়া। এগুলো হচ্ছে কিডনী রোগের দৃশ্যমান সমস্যা। এগুলো দেখা দিলে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষার করতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন:  কিডনী রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি? 

ডা. শামীম আহমেদ: কিডনী রোগ প্রতিরোধ হলো আসল চিকিৎসা। কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়লে ৯০ ভাগ রোগীর ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনী রোগে প্রতিরোধে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন: মূল্যবান সময় দেওয়া জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

ডা. শামীম আহমেদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।

ভিডিও

/ এআর /