কিশোরীকে তুলে নিয়ে ভিডিও ধারণের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৩:২২, ১৫ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:২৩, ১৫ নভেম্বর ২০২১
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫)কে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা তুলে নিতে মুঠোফোনে তাকে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা।
সোমবার সকালে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ওই মামলা করা হয়।
‘মামলা তুলে না নিলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা এবং ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে’ বলে জানান ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী।
ওই কিশোরী আরও জানান, আমার সাথে শুধু মামুনের সম্পর্ক ছিলো। গত ২৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তার সাথে দেখা করতে গেলে নরোত্তমপুর গ্রামের দারোগা বাড়ির আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮), একই গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে কামাল (৪৬), আকবর মেম্বারের ছেলে নাছের (২৫), হাজীপুর পাঁচ বাড়ির কালামিয়ার ছেলে ফরহাদ (২৭) অপহরণ করে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক আটকে রাখে।
এরপর মামুন ও কামাল আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এরপর ধর্ষণ ও ভিডিওধারণের বিষয়ে কাউকে জানালে হত্যার হুমকি ও ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
ছাতারপাইয়ায় এক মাস রাখার পর আবদুল্লা আল মামুন আমাকে কামালের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর কামাল ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় ঢাকায় নিয়ে পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলার শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে। সেখানেও ২ মাস আটক রেখে কামাল, নাছের ও ফরহাদ পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও টাকার বিনিময়ে তাকে ধর্ষণ করায়।
পরে ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে তার বাড়ি চলে আসে এবং সোমবার সকালে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন স্থানে পলাতক রয়েছে।
তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন